কুলাউড়ায় মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতনের শিকার যুবক, ধরাছোঁয়ার বাইরে হামলাকারী!

রবিবার, ৩০ জুন ২০১৯ | ৯:০১ অপরাহ্ণ | 2212

কুলাউড়ায় মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতনের শিকার যুবক, ধরাছোঁয়ার বাইরে হামলাকারী!

কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শামীম আহমদ (৩৫) নামের এক দিনমজুরের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনে আহত ওই দিনমজুর বর্তমানে সিলেট ওসমানি মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

এদিকে এঘটনায় মা পেয়ারা বেগম বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছেন। সন্ত্রাসীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। থানায় দায়েরকৃত মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুন রাত ৮টায় শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল গ্রামের দিনমজুর শামীম আহমদের উপর পূর্ব বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় একই ইউনিয়নের বাঘাজুরা (মনু নদীর পাড়ে) গ্রামের আছকির আলী, মুবাশ্বির আলী, ফজল (২৫) সর্বপিতা কুদ্দুস আলী, আরমান আলী, (২৩) পিতা মক্কর আলী, মাজিদ আলী (৪৫) পিতা ইউসুফ আলী। দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শামীম আহমদের সাথে তাদের মনোমালিন্য হয়ে আসছিলো। শামীম আহমদ তার বোনের বাড়ী বাঘাজুরা থেকে আসার সময় ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার উপর হামাল চালায়। একপর্যায়ে গাছের সাথে বেধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার শরীরে কুপাতে থাকে। এতে শামীম আহমদ গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এবিষয়ে পেয়ারা বেগম বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এবিষয়ে শরীফপুর ইউপি মেম্বার ইসমাইল হোসেন বলেন, শামীমের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর অবস্থায় গাছের সাথে বেধে রাখে সন্ত্রাসীরা। শামীমের মা পেয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলে দিনমজুর, টাকার অভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারছিনা, এতো টাকা পয়সা কোথায় পাবো। তার চিকিৎসা সঠিক সময়ের মধ্যে করতে না পারলে বাম পা কেটে ফেলতে হবে। তিনি আরো বলেন, আজ (৩০ জুন) ১৬ দিন ধরে আমার ছেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ খোঁজ খবর নেয় নাই।

উল্টো সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে; এমনকি যেকোন সময় বাড়িতে এসে প্রাণে মারারও হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমি অসহায়, কি করে ছেলের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাবো। তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে সুবিচার দাবী করেন। এবিষয়ে কুলাউড়া থানার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।বিজ্ঞপ্তি

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com