সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই তরুণী ৫ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। উপজেলার দলইরগাঁও মাঝপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদি হয়ে গত ২৫ জুলাই অভিযুক্ত জুবায়েল আহমদ (২২) কে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সে ওই গ্রামের মৃত ইমামুল হকের ছেলে। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তের পরিবার পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। আর অভিযুক্ত জুবায়েল গত ৩ মাস থেকে পলাতক।
রবিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে মামলার বরাত দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই অভিজিত দাস জানান, জুবায়েল তার প্রতিবেশি ওই তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এতে ওই তরুণী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিলে নানা টালবাহানা দেখিয়ে সরে যেতে চায়। তিনমাস আগে বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে সামাজিকভাবে আপোষের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত জুবায়েল কোনো অবস্থাতে রাজি না হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সময় নেওয়া হয়। কিন্তু ৫মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো সমঝোতা না হওয়ায় গত ২৫ জুলাই ভিকটিমের ভাই বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় জুবায়েলকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং জিআর নং ১৩৫/১৯, তাং ২৫/০৭/১৯। মামলার পর থেকে অভিযুক্তের পরিবার পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত ও তার পরিবার পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। তাই আসামী আটক করা যাচ্ছে না। তবে তাকে গ্রেফতারে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com