কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাট বিএনপির শীর্ষ নেতা ছিলেন দলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবুল হারিছ চৌধুরী।তিনি প্রায় ১৬ বছর আত্মগোপনে থাকার পর গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মারা যান।ফলে কমিটি হলেও শক্তিশালী নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।এ অবস্থায় আন্দোলন জোরদার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শক্তিশালী নেতৃত্ব চান তাঁরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে,বছরখানেক আগে কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল হয়।এর মাধ্যমে বিএনপি অনেকটা গোছানো হলেও অগ্রভাগে থেকে সাহস ও শক্তি জোগানোর মতো নেতা নেই।বিএনপির আরেক শীর্ষ নেতা সাবেক এমপি আব্দুল কাহির চৌধুরী বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ফ্ক্রিয়।এরই মধ্যে গত ১৩ জুন কানাইঘাট বাজারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে গেলে সংঘর্ষ হয়।এ ঘটনায় বিএনপির ৬১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তৃণমূলের কয়েকজন নেতা জানান,হারিছ চৌধুরী মারা যাওয়ার পর দলের মধ্যে কয়েকজন নেতা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।গোপনে একাধিক নেতার আলাদা বলয়ও তৈরি হয়েছে।উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক বলেন,জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দীর্ঘদিন কাজ করলেও হারিছ চৌধুরীর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল হোসেন বুলবুল বলেন,দলের যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত।উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন রশিদ বলেন, কানাইঘাটে বিএনপি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী।
জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন,নেতাকর্মীদের আন্দোলনমুখী করার চেষ্টা চলছে।
Development by: webnewsdesign.com