সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে আমন ধান রোপনের ধুম পড়েছে। গত কিছু দিন রাতে বৃষ্টির কারণে কোন ধরনের সেচযন্ত্র ছাড়াই কৃষকরা তাদের জমিতে ধান রোপন করতে পারছেন। তবে তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ফসলের মাঠে পোকার উপদ্রবের শঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, প্রতিদিন বৃষ্টিপাতের কারণে তারা শুধু হালচাষের টাকা ও শ্রমিক মজুরী দিয়েই তারা তাদের জমি রোপন করতে পারছেন।
জেলার তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে আমন ধানের চাষাবাদ হয়। ইউনিয়নগুলো হলো- বালিজুড়ি, বাদাঘাট, উত্তর বড়দল, দক্ষিণ বড়দল ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন।
এ বছর এই উপজেলা ৫টি ইউনিয়নের ৭৫০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসাবে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। বিগত বছর বন্যার কারণে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়। এ বছর যদি কোন দুর্যোগ দেখা না দেয় তাহলে চাষাবাদের পরিমান আরো বেশী হতে পারে।
কৃষক আব্দুন নূর বলেন, তিনি এ বছর ৫০ কিয়ার (৩০ শতকে এক কিয়ার) আমন জমি চাষাবাদ করেছেন। আষাঢ় মাসের শুরু থেকে রোপনের কাজ শুরু করেছেন। যে সময় কিছুদিন খরা ছিল সে সময় সেচ দিয়ে কিছু জমি রোপন করেছেন। তবে এখন ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের কারণে সেচ ছাড়াই তারা হাওরের সকল কৃষক আমন ধান রোপন করছেন।
তিনি আরও জানান, রোপন শেষে যে সমস্যা সৃষ্টি হয় তা হলো- মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া। মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তার জমিতে কীটনাশক ছিটিয়ে দিয়েও রক্ষা পান না। কারণ হলো এ কীটনাশক আশপাশের সকল জমিতে দিতে হয়।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসান উদ-দৌলা বলেন, মাজরা পোকা দমনে কৃষকদের লাইনিং করে রোপন ও পার্চিং এ উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। তাছাড়া জমিতে মাজরা পোকা দমনে কৃষকরা যাহাতে তাদের জমিতে একসাথে কীটনাশক ছিটায় সে লক্ষে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবো।
Development by: webnewsdesign.com