আপডেট

x

হবিগঞ্জে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বিপাকে মা!

মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০১৯ | ১০:২৫ অপরাহ্ণ | 1066

হবিগঞ্জে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বিপাকে মা!

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ব্যবসায়ি আব্দুল হাকিম (২৬) হত্যা মামলার ৮ মাসেও কোন অগ্রগতি হয়নি। উল্টো আসামিদের হুমকি-ধামকি আর অব্যহত হামলায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন নিহতের মা ও মামলার বাদি মোছা. আছমা বেগম।

বারবার বাদি পক্ষের উপর হামলা চালাচ্ছে আসামি পক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে লাখাই থানায় নিরাপত্তা ও হামলার প্রতিকার চেয়ে তিন দফায় পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে মামলার বাদি আছমা বেগম। কিন্তু এরপরও পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ করছেন বাদি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের মৃত লাল মিয়ার নামীয় জমি নিয়ে তার ছেলে মুশাহিদ মিয়ার সাথে বিরোধ চলছিল একই গ্রামের আশ্বব আলীর পুত্র তৌহিদ মহুরির। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার বাক-বিতন্ডা হয়। পরে স্থানীয় মাতব্বরা বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হন।

২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর সকালে মুশাহিদ মিয়ার বাতিজা আব্দুল হাকিমকে (অহিদ মিয়ার পুত্র) রাস্তায় একা পেয়ে তৌহিদ গংরা অতর্কিত হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুল হাকিমের পেটে টেটাঁবিদ্ধ করে গুরুত্বর জখম করে। স্থানীয় লোকজন আব্দুল হাকিমকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুল হাসান আব্দুল হাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার একদিন পর ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর নিহতের মা মোছা. আছমা বেগম বাদি হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে লাখাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাদি মোছা. আছমা বেগমের অভিযোগ- মামলা দায়েরের পর আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি।

এদিকে, চলতি বছরের ১৯ মে মামলার আসামিরা হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৯ জুন। বর্তমানে সকল আসামিই জামিনে রয়েছেন।

অপরদিকে, আসামিরা প্রথম থকেই বাদি পক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এমনকি একাধিকবার বাদি পক্ষের উপর হামলাও চালিয়েছে আসামি পক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লাখাই থানায় তিন দফায় পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাদি আছমা বেগম। এরমধ্যে প্রথম জিডি করেন ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর, ২য় জিডি করেন- চলতে বছরের ২ মার্চ এবং ৩য় জিডিটি করেন- চলতে বছরের ৫ জুন।

নিহতের মা ও মামলার বাদি মোছা. আছমা বেগম জানান, পৃথক তিনটি জিডির মাধ্যমে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও পাচ্ছেন না। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কোন ধরণের কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে চাইলে উল্টো পুলিশ তাদেরকে গালিগালাজ করছে।’

তবে বিষয়টি অস্বিকার করলেন লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বাদি পক্ষের লোকজন নিরাপত্তা চেয়ে তিনটি জিডি করেছে। পুলিশ জিডিগুলো তদন্ত করে দেখছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com