হবিগঞ্জে একটি কোম্পানিতে কাজ করতে যাওয়া এক কিশোরীকে রাতের আঁধারে হাওরে নিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুর রশিদ ও লাখাই আশেরা গ্রামের সোহেল মিয়া নামে দুই সিএনজি অটোরিকশার চালককে আটক করেছে পুলিশ। আব্দুর রশিদ সদর উপজেলার নিতাইরচক গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের ওই কিশোরীর পিতা অভিযোগ করে জানান, তার ভাইসহ তাদের পরিবারের একাধিক সদস্য শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে একটি কোম্পানিতে কাজ করে। এরই সুবাদে তার কন্যা ওই কোম্পানিতে কাজ করতে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে সে হবিগঞ্জ শহর থেকে সন্ধ্যার দিকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে অলিপুরের উদ্দেশে উঠলে সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ তার সহযোগীরা তাকে ওই এলাকায় না নিয়ে রাস্তা ঘুরিয়ে কৌশলে অন্যত্র নিয়ে যায়। পরে তাকে রাতের আঁধারে সদর উপজেলার নছরতপুর এলাকার একটি হাওরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। এ সময় টহল পুলিশ বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, এ ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com