সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ২০২২-২২ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৪০ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আয় ও সমপরিমাণ টাকা ব্যয় ধরে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর আরামবাগ এলাকার আমানউল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজেট ঘোষণা করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বাজেট ঘোষণার সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন,সিলেট নগরের নাগরিকবৃন্দকে অধিকতর সুযোগ-সুবিধা ও সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবার সর্বমোট ১ হাজার ৪০ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আয় ও সমপরিমাণ টাকা ব্যয় ধরে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয়ের খাতগুলো হল-হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৫ কোটি ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা,স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের উপর কর ১৬ কোটি টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনঃ নির্মাণের উপর কর ২ দুই কোটি টাকা,পেশা ব্যবসার উপর কর ৮ কোটি ৫০ পঞ্চাশ লক্ষ টাকা,বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা,বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৮০ লক্ষ টাকা,ঠিকাদারি তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফি বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা,ল্যাব টেস্ট ফিস বাবদ ৬০ লক্ষ টাকা।
বাজেটে বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা,ট্রাক টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা,খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ৪ কোটি ৫০ হাজার টাকা,রোড রোলার ভাড়া বাবদ আয় ৫০ লক্ষ টাকা,রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ৩০ লক্ষ টাকা,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা,দক্ষিণ সুরমা শেখ হাসিনা শিশু পার্কের টিকিট বিক্রয় থেকে আয় ৮০ লক্ষ টাকা,পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা,পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগ ফিস বাবদ ১ কোটি টাকা,নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়া নির্মাণ ও সংস্কার, ঢাকায় সিটি করপোরেশনের নিজস্ব লিয়াজো অফিসের জন্য ফ্ল্যাট ক্রয়,কসাই খানা নির্মাণ/ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গা উন্নয়ন,সিটি করপোরেশনের যানবাহন রক্ষায় গ্যারেজ নির্মাণ,সিটি করপোরেশনের যানবাহন। রক্ষণাবেক্ষণে ওয়ার্কশপ নির্মাণ,হাট বাজার উন্নয়ন,বাস টার্মিনাল সংস্কার ও উন্নয়ন, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় পাঠাগার নির্মাণ,নাগরিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন,গভীর নলকূপ স্থাপন,এমজিএসপি প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নিজস্ব অর্থ ব্যয়,সিটি করপোরেশনের জন্য জীপ গাড়ী ও ২টি আধুনিক এ্যাম্বুলেন্স ক্রয় এবং নারীদের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ ব্যয়সহ ইত্যাদি ব্যয় উল্লেখযোগ্য।
বাজেটে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা থেকে বরাদ্দ খাতে ব্যয় ৫ কোটি টাকা,কোভিড-১৯ মোকাবেলা, ডেঙ্গু মোকাবেলা,পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচার উপ-খাতসহ সরকারি বিশেষ মঞ্জুরি খাতে ব্যয় ৪৬ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৪৮০ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা,নগর ভবনের উধ্বমূখী সম্প্রসারণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাইড স্থাপন খাতে ২ কোটি টাকা,সিলেট মহানগরীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প।
বাজেটে ৫ কোটি টাকা,বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প খাতে ১০ কোটি টাকা,সিটি করপোরেশন এসফল্ট প্লান্ট স্থাপন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণ খাতে ২০ কোটি টাকা,সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ফিলিং ষ্টেশন স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সিটি করপোরেশনের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা,কুমারপাড়ায়।সিটি করপোরেশনের নগর মাতৃসদন ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা,তোপখানাস্থ সিলেট সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ভূমিতে আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার ও স্টাফ কোয়াটার নির্মাণ প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা , উৎপাদন নলকূপ স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা,সিলেট সিটি করপোরেশনের মীরের ময়দান এলাকায় স্টাফ কোয়াটার নির্মাণ খাতে ১ কোটি টাকা,সিলেট মহানগরীতে যানজট নিরসনে ৪টি পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা।
এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪টি গরুর হাট নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪টি জবাইখানা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা,সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪টি খেলার মাঠ নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা,সিলেট সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা,সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরগণের স্থায়ী অফিস নির্মাণ খাতে ১০ কোটি টাকা,সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার মসজিদ,মন্দির,গির্জা,মাজার, কবরস্থান,শশ্মানঘাট,ঈদগাহ উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা,ইউনিসেফের অর্থায়নে সিলেট সিটি করপোরেশন।
বাজেটে সুবিধা বঞ্চিত মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা এবং টিকাদান কর্মসূচি খাতে ২ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীতে সুয়ারেজ মাস্টার প্লান এর ফিজিবিলিটি স্টাডি করন প্রকল্প ৫ কোটি টাকা,৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য।১৩.১৩ একর জমি অধিগ্রহণ ৫ কোটি টাকা,আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প খাতে ৫০ লক্ষ টাকা,নগরীর বস্তি সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা এবং সিটি করপোরেশনের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প খাতে মার্কেট নির্মাণ বাবদ প্রাপ্ত সালামী ও সিটি করপোরেশন আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় গ্রহণ বাবদ মোট ৩৭ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com