ফিব্রাইল কনভালশন যা বাংলায় বলা যায় জ্বর জনিত খিঁচুনি রোগ’। রোগটা অনেকটাই এমন যে, রোগীর মস্তিস্কে কোন ক্ষতজনিত কারণ ছাড়াই শরীরে খিঁচুনি হয়। আর এ খিঁচুনি সাধারণত জ্বর এর সাথেই হয়ে থাকে। এ রোগটি বাচ্চাদেরই হয়, বাচ্চার বয়স ৬ থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত যে কোনো সময় হয়ে পারে। ছেলে বাচ্চারা মেয়ে বাচ্চাদের থেকে বেশি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই পাঁচ বছরের নিচে মানে ৬০ মাস বয়সের নিচে যে কোনো ছেলে বাচ্চার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে পরিবারের সকল সদস্যদের।
একজন সুস্থ্য সবল স্বাভাবিক ছেলে বাচ্চার ভাইরাল ইনফেকশন, নিউমোনিয়া, অটাইটিস মিডিয়া (মধ্য কর্ণ এর প্রদাহ), টনসিলাইটিস, রেচন তন্ত্রের (কিডনি – ইউরেটার – ব্লাডার – ইউরেথ্রার) কোন ধরণের ইনফেকশন থেকে হতে পারে।
কিভাবে বুঝবো ফিব্রাইল কনভালশন বা জ্বর জনিত খিঁচুনি রোগ?
বাচ্চার বয়স ৬ মাস থেকে ৬০ মাসের মধ্যে, তবে ১৪ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে বেশি হয়। জ্বর ১০১ ফারেনহাইড (ডিগ্রি) বা তার বেশি থাকে। খিঁচুনি হবে ২৪ ঘণ্টায় একবার। খিঁচুনির স্থায়িত্বকাল হবে কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু ১৫ মিনিটের বেশি হবে না। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় একবারই খিঁচুনি হয়, ২ বার হওয়াটা খুব বিরল। মেনিনজাইটিস এর কোনো লক্ষণ থাকবে না। মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ সাধারণত মাথার চুলের নরম অংশটা ফুলে থাকবে (বালজিং ফ্রন্টানালী), ঘাড় শক্ত হয়ে যাবে (নেক স্টিফনেস), আবোল-তাবোল বকাবকি করবে (স্টোপর) খিটখিটে মেজাজ থাকবে। এ খিঁচুনির সাথে নিউরোলজিকেল কোনো অসুবিধা থাকবে না।
কি পরীক্ষা করা লাগবে?
সিম্পল ফিব্রাইল সিজার এর ক্ষেত্রে EEG এবং Neuro imaging না করলেও চলবে।
চিকিৎসা :
কিভাবে প্রতিরোধ করা যাবে বারবার আক্রান্ত হওয়া থেকে?
জ্বর আসার সাথে সাথে প্যারাসিটামলের সাথে ডায়াজেপাম উপরের হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা পরপর ৩ দিন। সাধারণত সঠিক সময় চিকিৎসা নিলে রোগী ভালো হয়ে যায়। আর কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ৬০ মাসের পর ইপিলেপ্সি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ বাঞ্ছনীয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com