শরীরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন। মুখের বাম পাশে জমাট বাধা রক্ত, ডান পাশের স্তনের ওপরেও কালচে দাগ। গলায় চারদিকে কালো গোলাকৃতির দাগ রয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়েস্টেশনের একটি পরিত্যক্ত বগির বাথরুমে এভাবেই পড়ে ছিল মাদ্রাসাছাত্রী আসমা আক্তারের লাশ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আসমা আকতার (১৭) পঞ্চগড় সদর উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে স্থানীয় খানবাহাদুর মাদ্রাসা থেকে এসএসসি সমমান পরীক্ষায় পাস করেছে। ৩ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের চাচা রাজু আহামেদ।
ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর) থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, কমলাপুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বুকের ডান পাশে কামরের দাগ, গলার চারদিকে কালো গোলাকৃতির দাগ ও কপালে ফোলা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, বা মৃত্যুর আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
তবে নিহত আসমার চাচা রাজু জানান, গতকাল সকাল থেকে আসমাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাঁধন নামের একটি ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওইদিন সকাল থেকে বাঁধনকেও পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকালে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন গিয়ে আসমার মরদেহ দেখতে পাই। আমাদের ধারণা, বাঁধনই তাকে ফুসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে এসেছে।
Development by: webnewsdesign.com