চীনের উহান থেকে উৎপত্তি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বিশ্ব আজ বিচ্ছিন্ন। অধিকাংশ দেশ লকডাউন কিংবা জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে বাংলাদেশও। এজন্য এই প্রাণঘাতী ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জনসমাগমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও করোনাভাইরাসে বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি শুরু হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে গণপরিবহন চলাচলও। এর ফলে বাংলাদেশে কার্যত অঘোষিত লকডাউনই শুরু হয়েছে।
যদিও গত ২১ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিদায়ী মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে লকডাউন কিংবা জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরামর্শ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
লকডাউন কিংবা শাটডাউন পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে ৬টি বিষয়ের দিকে নজর দেয়ার কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
১) যতটা সম্ভব পারা যায় স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে, তাদের প্রশিক্ষণ ও সেবা কাজে নিয়োগ করতে হবে।
২) কম্যুনিটি লেভেলে সংক্রমণ হতে পারে- এমন প্রতিটি ঘটনা খুঁজে বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) টেস্ট করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে হবে।
৪) রোগীদের চিকিৎসা এবং তাদের আইসোলেট করার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫) রোগীদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
৬) ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলা করার জন্য গৃহীত সরকারি পদক্ষেপগুলো পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এসব ব্যবস্থা নেয়াটাকেই সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের দাবি, এসব ব্যবস্থাই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমানো এবং পরবর্তীতে যাতে এটি আবার না ছড়াতে পারে- তার সবচেয়ে ভালো উপায়।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪৩৪ জন, আর সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৭ জন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন, আর সুস্থ হয়েছেন ১১ জন।
সৌজন্যে : যুগান্তর
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
Development by: webnewsdesign.com