কুলাউড়ার রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবারের এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ৪র্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্র জানায়, বুধবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী রাজুকে স্কুল থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে অফিস কক্ষে ডেকে নেন প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী। এসময় তিনি ও তার ছেলে জাকারিয়া (১৫) মিলে অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে ছবি না উঠালে প্রাণে মেরে ফেলার ও ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, গত ২০ জুলাই প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী ওই ছাত্রীকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি দিতে দেরি করায় উত্তেজিত হয়ে মারধর করেন। এতে ওই ছাত্রী আহত হলে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এসময় বিদ্যালয়ে থাকা ছাত্রীর ফুফু আমেনা আক্তার প্রধান শিক্ষকের মারধরের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তাকেও তিনি লাঞ্চিত করেন।
এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে লিখিত অভিযোগ দিলে ২৭ জুলাই বিদ্যালয়ে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সৌরভ গোস্বামী।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মন্তাজ আলী বলেন, তিনি ছাত্রীকে মারধর করেননি। কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর জন্য ছবি তুলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়। তাই ছবি তুলেছি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। শিক্ষা বিভাগ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আইয়ুব উদ্দিন বলেন, তদন্তে অভিযোগের বিষয়টি প্রমাণিত। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভায় ওই শিক্ষককে অন্যত্র বদলীর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবারের ঘটনার তদন্ত করে আগামী রোববারের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নবাগত ইউএনও স্যার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পাদনা: সুতীর্থ
Development by: webnewsdesign.com