রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ |
৪:৫১ অপরাহ্ণ | 492
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ওয়াপদা (রঘুনন্দনপুর) এলাকার রোহুল আমিন মিয়ার বাড়িতে মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বিয়ের দাবিতে অদ্য ১৩/১০/২০১৯ তারিখ সকাল ১১ ঘটিকা হতে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে এলাকার মানুষ ও কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হলে ছেলের পিতা সহ আরো দুই একজন ব্যাক্তি উক্ত ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগী মেয়ে জানান,তার বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গয়ঘর গ্রামে,একসাথে পড়ালেখা করার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে যা পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। তার সাথে ওয়াপদা (রঘুনন্দনপুর) এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে সজল মিয়া (২৮) ছেলেটি দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, সেই সুবাদে ছেলেটি পবিত্র কোরআন শরিফের কসম কেটে তাকে মৌখিক ভাবে বিয়ে করে এবং কয়েক বছর ধরে তার (মেয়েটির) সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছে।
এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী মেয়েটি সামাজিক ভাবে তাকে ঘড়ে তোলার জন্য সজল মিয়া কে চাপ দিলে সজল তাকে আজকাল করে কালক্ষেপণ করতে থাকে,একপর্যায়ে কয়েকদিন যাবৎ সজল ভুক্তভোগী মেয়ের সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, এমতাবস্থায় কয়েকদিন আগেও মেয়েটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছেললটিকে খোঁজ করে এবং সজলের পরিবারকেও তাদের সম্পর্কের বিষয় অবগত করে কিন্তু সজল ও তার পরিবার এবিষয়ে কোনো সদুত্তর দেয়নি, এমতাবস্থায় মেয়েটি কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে দিশেহারা হয়ে যায়, তার মধ্যে সজল তাকে ধোঁকা দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য পায়তারা শুরু করেছে এমন খবরে মেয়েটি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পরে।এবং বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী।
সরেজমিন দেখা যায়, ভুক্তভোগী মেয়ে সজলের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অবস্থান করছে, সাথে তাকে খোঁজতে আসা দুই কিশোর ভাই কান্না কান্না ভাবে হতাশ হয়ে বসে আছেন, সে সময় ছেলের বাবা ও তার পাশের বাড়ির দুজন লোক মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে শাসাচ্ছেন, সাংবাদিকদের কে খবর দিয়েছে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠে ছেলের বাবা রুহুল আমিন,এক প্রশ্নের জবাবে সজলের বাবা রুহুল আমিন বলে মেয়ে আসছে,আমি দেখি কি করা যায়।
কেন ছেলের বাবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনকে এতো সময় ধরে জানাননি এমন প্রশ্নে দাম্ভিকতার সহিত তিনি বলেন সেটা আমার বিষয়। প্রায় একঘন্টা সাংবাদিকদের সাথে তর্কবিতর্ক করে তিনি রুমের ভিতরে চলে যান, এর মধ্যেই মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ আসার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে মেয়েটিকে ছেলের বউ হিসেবে মেনে নিবেন এবং আজ রাতের ভিতরেই এর সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করলে মেয়েটি তার ভাইদেরকে সাথে নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘন্টার অবস্থানের অবসান ঘটিয়ে চলে যায়।
সূত্র: মৌমাছি কন্ঠ