করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব বা কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রিসভা বলেছে, না হয় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্ভব হবে না।
সোমবার (৬ এপ্রিল) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে মন্ত্রিসভা কমিটি জনগণের প্রতি এ আহ্বান জানায়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর মধ্যে দেখছি আজকে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও একটু সতর্ক এবং স্ট্রিক্ট ভিউতে সবকিছু…প্রশাসনকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে আরেকটু স্ট্রিক্ট ভিউতে সোশ্যাল আইসোলেশন বাস্তবায়ন করার জন্য। সেই সঙ্গে ব্যাপক প্রচারণাও চালাবে গ্রাম এলাকায়, যাতে মানুষ আরও বেশি সতর্ক হতে পারে।’
‘আমরা নিজেরা যদি নিজেদের রক্ষা না করি তাহলে এটা আমাদের পক্ষে দুরুহ হবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিশেষ করে আমাদের চিকিৎসকরা বারবার অনুরোধ জানাচ্ছেন- আমরা চিকিৎসা কার্যক্রম দেয়ার জন্য বাইরে আছি। আপনারা অনুগ্রহ করে ঘরে থাকবেন।’
পহেলা বৈশাখ বাইরের সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যা করবেন ডিজিটালি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মুসল্লিদের বিশেষ অনুরোধ জানানো হচ্ছে মসজিদের আঙ্গিনার বাইরে থেকে কেউ এসে নামাজ পড়বেন না। মক্কা-মদিনায়ও দেখবেন যারা মসজিদের ভেতরে কর্মী তাদের নিয়ে তারা জামাত করছেন। মসজিদের আঙ্গিনায় ইমাম আছেন, মুয়াজ্জিন আছেন আশপাশের এক-দুজন আছেন তারা হয়তো আসতে পারেন। যদি আমরা গুরুত্ব না দিই তবে কিন্তু এটা কন্ট্রোল করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে লাইলাতুল বরাতের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনও বলে দিয়েছে। মন্ত্রিসভায়ও এটা আলোচনা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ রূপে নফল ও একাকি করার ইবাদত। এটা কোনো জামাত বা দলবদ্ধ ইবাদত নয়। এটা আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে আমরা সবাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব, যাতে এই করোনা থেকে মুক্ত থাকতে পারি।’
আইইডিসিআর সোমবার জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে ৩৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে।
Development by: webnewsdesign.com