নারী জাগরণের অগ্রদূত শামীমা শাহরিয়ার। যার মাধ্যমে বর্তমান সময়ে জেগে উঠেছে হাজার ও নারী পুরুষ তরুণ তরুণীরা। যাকে দেখলে এলাকার মানুষ প্রাণ খুজে পায়,পায় খুজে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা তিনি হলেন শামীমা শাহরিয়ার। হাওড় কন্যা নামে খ্যাত বাংলাদেশ কৃষক লীগের মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার । হাওড় বাঁচাও কৃষক বাঁচাও এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কিভাবে কৃষক বাঁচাবে, কিভাবে সময় মতো কৃষক তার ফসল হাসি মুখে ঘরে তুলবে সেই চিন্তায় তিনি থাকেন মগ্ন। কৃষককে উৎসাহিত করার জন্য তিনি নিজের হাতে কাঁচি হাতে নিতেও দ্বিধা বোধ করেন না। আবার সেই কৃষকের সাথে মাঠে বসেই তাদের আনা খাবার খেতেও তিনি দ্বিধাবোধ করেন না, এটা শুধু উনার পক্ষেই সম্ভব। মানবতার সেবক হিসেবেও আপনার নেই কোন তুলনা, বর্তমানে সাময়ে করোনা ভাইরাসের কারনে যখন সকল মানুষ ঘরে আপনি তখন মাটি ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গ্রামেগঞ্জে ঘুরেঘুরে মানুষের সুযোগ সুবিধা নিয়ে ভাবছেন, মাইকিং করছেন, জনসচেতনতার কথা বলছেন। মাস্ক ও খাবার বিতরণ করছেন যাতে আপনার মাটির মানুষগুলো খেয়েপড়ে বাচতে পারে। আপনিই সত্যিকারের হাওরকন্যা। যারা নিজেকে মাটির মানুষ মনে করে তারাই একমাত্র এমন করে মাটির মানুষের সাথে মিশে যেতে পারে আর তিনি হলেন সেই খাঁটি মাটির মানুষ।
অবহেলিত সুনামগঞ্জের সংরক্ষিত আসনে মহিলা এমপি মনোনীত হয়ে নৌকার মাঝি হিসাবে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাটি ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের একটাই দাবি ছিল তা পুরন হয়েছে । দক্ষ নেত্রী ছাড়া হাওয়ার বাসীর দুঃখ কস্ট দূর করতে পারবেনা, দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া উপেক্ষা করে ঝড় তুফান কে উপেক্ষা করেও যিনি তার অবহেলিত এলাকায় মানুষের পাশে গিয়ে তাদের কস্টকে ভাগ করে নেন তিনিই তো সত্যি কারের নেত্রী।
সততা, সামাজিক কার্যাবলী,রাজনৈতিক কার্যবলী শামীমা শাহরিয়ার সব গুলো গুনাবলীর অধিকারী। তিনি এলাকার অসহায় জনগনের ডাকে প্রতিকুল অবস্থায় ও প্রতিনিয়ত সাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে একজন পুরুষ ও সচরাচর যেতে চাননা বা জাননা সেখানে তিনি নির্দিধায় চলে যান মানুষের ভালোবাসার টানে তাই সেখানে তিনি আদর্শ নেতা হিসাবে বিবেচিত। রাজনীতির মাঠেও তিনি তরুন নেতৃত্বের মহান নেত্রী হিসেবে পরিচিত। তৃণমূল পর্যায় থেকে তিনি রাজনীতির মাঠে আলোড়ন সৃষ্টি করছেন। আজ তারই আদর্শে রাজনীতির রশ্মি গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ফলে আজ তিনি কেন্দ্রীয় নেতা। দলের দূর্দিনে তিনি অনেক ত্যাগ স্বিকার করেছেন। জাতীয় সংসদে আদর্শ রাজনীতিবিদের বিকল্প নেই। তিনিই পারবেন ভাটি অঞ্চলের দূর্গম এলাকার গরীব দুঃখি, মেহনতি ও অসহায় মানুষের উন্নয়নের ধারাবাহিক ত্বরান্বিত করতে। দেশের জন্য যারা মুষলধারে বৃষ্টি কিংবা প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে জমিতে সোনার ফসল ফলান তারাই এদেশের সোনার মানুষ। আমাদের এই কৃষকেরা গ্রামেই থাকেন, খুব সহজ-সরল জীবনযাপন করেন, শহরের মানুষের মতন আধুনিকতার মারপ্যাচ বোঝেন না। তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পেলেই খুশি থাকেন। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, শ্রম দিয়ে মাঠে সোনা ফলান৷ ন্যায্য দাম না পেলে নীরবে-নিভৃতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন না, তনু তারা দমে যান না৷ তিনি যেভাবে এই মানুষের অন্তরে ভালোবাসা দিয়ে জায়গা তৈরী করেছেন তা যেন সব সময় সারা জীবন বহমান থাকে। আমাদের দেশের কৃষকরা খুব মোটা অঙ্কের টাকা কিংবা উঁচু দালানের স্বপ্ন দেখেন না। তাদের কর্ষিত জমির কষ্টার্জিত ফসলের উপযুক্ত মূল্য পেলেই তারা খুশি। আর কৃষকের চোখের জল মুছে মুখে হাসি ফোটাতে আপনার কর্মনিষ্ঠা আলোর পথ দেখাবে বলে আমি আশাবাদী।
তিনি বলেছিলেন,বিয়ের তিন দিন পরে যখন আমি আমার স্বামীর গ্রামের বাড়ি গেলাম তখন তিনি আমাকে গ্রামের সহজ সরল মানুষ গুলোকে দেখিয়ে বলেন এই হল আমার গ্রাম তোমার পরিবার পরিজন আর এদের সাথেই জীবন কাটাতে হবে। সেই থেকে শুরু হলো নতুন পথচলা আমার। আর সেই থেকেই এই মানুষ গুলোই আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে আর এই মানুষ গুলোই আমার জীবনের সব কিছু হয়ে দাড়িয়েছে। আমি শত ব্যস্ততার মধ্যেও ঝড় বৃষ্টি, বান বন্যা তুয়াক্কা না করেই এই সব সময় এই মানুষ গুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করি।
মাকে যেমন ভালবাসি এসো দেশকে ও তেমনি ভালবাসি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আপনি কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে। যে মানুষ শত তার সাথে দিন রাত অবিরাম কাজ করে চলেছেন। আমার চোখে দেখা আপনি এমন একজন মানুষ যার কথা বলে শেষ করা সম্ভব না। আপনি বলেছিলেন, আমার নেত্রী এবং আমার সরকার আমাকে যাই দিবেন, আপনারা পাই পাই হিসাব করে আমার কাছ থেকে বুঝে নিবেন। আপনি তাও সঠিক ভাবে রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মানুষের দাড়ে দাড়ে পৌছে দিচ্ছেন। আপনি বলেছিলেন, হাওরে ফুল ফুটবেই সত্যি আপনি তাই করে দেখিয়েছেন। আপনি বলেছেন,প্রতিবন্ধীরা আমাদের দেশের সম্পদ,এই সম্পদকে সমাজ ও পরিবার গঠনে কাজে লাগাতে হবে, আপনি আপনার কথা মতো এসব অবহেলিত মানুষকে নিয়ে কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। গ্রামের মায়েদের হাসির ঝিলিক, প্রতি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক করে তাদের দুরদশা লাগবে আপনি কাজ করে চলেছেন। মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে, সেন্ডেল হাতে নিয়ে পানির নালা, ছড়া পার হয়ে কাঁদা মাটি মেখে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সবার খুজ খবর নেওয়া চাট্টি খানি কথা নয় কিন্ত আপনি কোন কিছু তুয়াক্কা না করেই কাজ করে যাচ্ছেন রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। আপনিই সুনামগঞ্জের নারী জাগরণের অগ্রদূত।
হাওড় কন্যা নামে খ্যাত মানবতার ফেরিওয়ালা শামীমা শাহরিয়ার সব সময় মানুষের সুখে দুঃখে এভাবেই মানুষের পাশে থাকবেন। খুব কাছে থেকে আপনাকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। একজন সত্যিকারের সাদা মনের মানুষ আপনি। মানুষকে কি ভাবে ভালবাসতে হয় তা আপনাকে না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না। আপনাকে দেখে অনুপ্রেরণা পাই নিজেকে মানবতার তরে তৈরি করার। আপনি নারী জাগরণের অগ্রদূত হয়ে সারা জীবন এভাবেই মানুষের পাশে থেকে আমাদের মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাবেন। শত মানুষের দোয়া আপানার চলার পথের সঙ্গী হয়ে আপনাকে শক্তি যোগাবে।৷ হাওড় কন্যা শামীমাঃ আপনি আমাদের গর্ব।