মৌলভীবাজারের বড়লেখাস্থ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন- বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক মাছুম উদ্দিন, পরিচ্ছন্নকর্মী মৌলা মিয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী মুহিবুর রহমান নানু।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) তাদের উক্ত নোটিশ দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে তিন কর্মদিবসের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি সরকারি এ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চালুর পর থেকে কখনও তেল সংকট, কখনও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্টসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে
এ্যাম্বুলেন্সগুলো বন্ধ রাখা হতো বলে অভিযোগ হাসপাতালে আগত রোগী ও স্থানীয়দের।
সূত্রমতে আরও জানা যায়, হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক মাছুম উদ্দিনের নিজস্ব দুটো এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। পরিচ্ছনকর্মী মৌলা মিয়ার আছে দু’টি এবং নিরাপত্তা প্রহরী মুহিবুর রহমান নানুর আছে একটা। যার দরুন তারা ইচ্ছা করেই সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি বন্ধ রাখেন বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়াও নিজেদের এ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত বাইরের কোনো এ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে ঢুকতে দেন না তারা। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের এ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন করতে হয়।
গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) হাসপাতালের এই তিন কর্মচারীর ব্যক্তিগত অ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্য নিয়ে সিলেটভিউসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
এব্যাপারে বড়লেখার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহম্মদ হোসেন জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ওই তিন কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com