বৃষ্টি হলেই কুলাউড়া পৌরসভার বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতা এখন স্বাভাবিক ঘটনা। ফলে জনজীবনে দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন অলিগলিতে হাঁটু সমান বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এবং তা দ্রুত নিষ্কাশন না হওয়ায় দুর্ভোগের স্থায়িত্ব বাড়ে। শুক্রবারের বৃষ্টিতে নিচু বাসা বাড়িতেও প্রবেশ করে পানি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষ কার্যকরি পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সরেজমিনে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত শুক্রবারের বৃষ্টির ফলে শহরের প্রধান সড়কসহ প্রতিটি মোড়ে হাঁটু সমান পানি। আবার অনেক বাসা বাড়িতেও পানি প্রবেশ করছে। এতে করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেকেরই মূল্যবান আসবাবপত্র।
পৌর এলাকার ব্যবসায়ী সামাদ আহমেদ জানান, বৃষ্টির ফলে পৌর শহরের বিভিন্ন দোকান ও মার্কেটের সামনে হাঠু পানি লেগে থাকে। কয়েক ঘন্টা বৃষ্টি হলে পানি জমে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। অস্থিরতা দেখা দেয় ব্যবসা বাণিজ্যে। উন্নতমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তিনি।
পৌর শহরের শিক্ষার্থী তরিকুল হাসান জানান, কুলাউড়া পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিত্যদিনের সঙ্গী। বৃষ্টি মানেই কুলাউড়া শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এ বিষয়টা পরিস্কার। পৌর শহরের পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাই জলাবদ্ধতার মূল কারণ। তাই দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান ওই শিক্ষার্থী।
এদিকে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই সমগ্র পৌর এলাকা জুড়েই হাটু পানির বিচরণ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। অনেকেই তাদের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন- শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে দোকান-কোঠায়ও পানি; শুধু তাই নয় পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অলিগলির প্রতিটি সড়কে হাটু সমান পানি! ড্রেন উপচে পানি ঢুকছে বাসা-বাড়িতে। তারা লিখেছেন, “আমরা পৌরবাসী যে কবে, নুন্যতম নাগরিক সুবিধা ভোগ করবো সেটা আল্লাহ জানেন।”
মাহফুজ আলম ফয়ছল তার ওয়ালে লিখেছেন, “আমাদের কুলাউড়া পৌরসভা নামে ‘এ’ গ্রেড বাস্তবে ‘জিরো’ গ্রেড আর নাগরিক হিসাবে আমরা সুপার গ্রেড।’ মেহেদী হাসান লিখেছেন, “অবসর পেলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন দৃষ্টিনন্দন ‘কুলাউড়া সৈকত’, পরিকল্পিত নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে না পারলে কুলাউড়ার ভবিষ্যৎ চিত্র আরো ভয়াবহ হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্র্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে হালকা বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধতায় সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রাস্তায় আটকে যানজটের সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে ড্রেনের পানি রাস্তায় পড়ে। এতে করে দুর্গন্ধও ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
এ বিষয়ে কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র শফি আলম ইউনুছের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Development by: webnewsdesign.com