বন্যার পঁচা পানীর দুর্গন্ধে নাকাল কুলাউড়া পৌরবাসী

মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২ | ৪:৫৬ অপরাহ্ণ | 186

বন্যার পঁচা পানীর দুর্গন্ধে নাকাল কুলাউড়া পৌরবাসী
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:: কুলাউড়া পৌরসভার বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি নামার গতি ধীর থাকায় এখনো বেশিরভাগ এলাকার ঘরবাড়ী প্লাবিত হয়ে আছে। ধীরগতিতে নামছে পানি। প্রায় এক মাস ধরে পানিবন্দি থাকায় বন্যার্তদের দুর্ভোগ বাড়ছে।

এদিকে পৌরসভার যেসব এলাকার পানি নেমে পড়ছে সেসব এলাকার অন্যত্র আশ্রয় নেয়া মানুষজন ফিরতে শুরু করেছেন নিজ গৃহে। তবে অনেকের ঘরের আসবাবপত্র নষ্ট হওয়ায় আরও দুর্ভোগে পড়ছেন। এছাড়াও বন্যাকবলিত প্রতিটি এলাকায় পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় পঁচে অসহনীয় দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। পানির সাথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আবর্জনার স্তুপ। পানি না কমায় এসব আবর্জনা পরিস্কার করাও সম্ভব হচ্ছে না।



গেল শুক্রবার থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বাসা পরিষ্কার করছিলেন কুলাউড়া পৌরসভার মাগুরা এলাকার আশরাফ মিয়া। তিনি বলেন,পানি বেড়ে যাওয়া অনত্র আশ্রয় নিয়েছিলাম। ঘরে ২০ দিন পানি ছিল। আজকে পানি কিছুটা নামায় ঘর পরিষ্কার করতে এসেছি। তবে বেশ কিছু আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।  বেশি সমস্যা হচ্ছে চারপাশে দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। ঘরের ভেতরে পানি পঁচা দুর্গন্ধ।

সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুন থেকে কুলাউড়ায় বন্যা দেখা দেয়; ১৭ জুন তা ভয়ংকর রূপ নেয়। প্লাবিত হয়ে পড়ে শহরের ৫টি ওয়ার্ডের বেশকয়েকটি গ্রাম। এদের মধ্যে পৌরসভার মাগুরা ও থানা রোড, সাদেকপুর, সোনাপুর ও বেহালা, টিটিডিসি এরিয়া, উত্তরবাজার, আহমদাবাদ, নতুনপাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দেখিয়ারপুর, শিবির, মনসুর এলাকা।

বন্যার পানি নামতে ধীরগতি হওয়ায় এসব এলাকায় দীর্ঘ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টির সাথে পানি পঁচে দুর্গন্ধ ও পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সব বয়সের মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,চলতি সপ্তাহ থেকে কুশিয়ারা নদীর পানি কমেছে ১ থেকে ২ সেন্টিমিটার। পানি একেবারে ধীরগতিতে নামছে  তবে ধারনা করা হচ্ছে এ সপ্তাহের মধ্যেই পানি নেমে যাবে।

এ বিষয়ে কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা একবেলা খাবার বিতরণ করে আসছি। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকধাপে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে এবং এখনও চলমান রয়েছে এ কার্যক্রম।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,মরা গুগালিছড়া খালটি খননের জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শুরু হবে। পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণলয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। এবারের শহর রক্ষাবাঁধের বিষয়টি এখন গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সরকারের কাছে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাঁধের বিষয়টি নিয়ে প্রকল্প আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলাদা প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com