গত ০৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দৈনিক অধিকারসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত “স্বামীর প্রতারনার শিকার পৃথিমপাশার সালমা” ও “লোকে তাকে ডাকে সালমা পাগলি” বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে সালমার স্বামী ওমান প্রবাসী মিজানুর রহমান।
তার লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, ২০০৬ সালে ৪০ হাজার টাকা দেনমোহর নির্ধারন করে সালমার সাথে আমার বিবাহ সম্পন্ন হয়। আমার স্ত্রী সালমার বাবা-মা না থাকায় তার পরিবারের বরনপূষণের দায়িত্ব আমি প্রথম থেকে পালন করে আসছি। বিয়ের চার বছর আমাদের সংসার সুন্দর মতো চলছিল। এরমধ্যে আমরা দুটি পুত্র সন্তান লাভ করি। কিন্তু চার বছর পর সালমার মানুষিক সমস্যা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সে উন্মাদ হয়ে উঠে। আমি প্রবাসে থাকায় আমার পরিবারের লোকজনকে দিয়ে তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তারের শরাপন্ন হই। কিন্তু তার মানুষিক রোগের কোন উন্নতি হয়নি। সর্বশেষ সিলেটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রেজাউল করিমের চিকিৎসা নিলেও সালমার কোন উন্নতি হয়নি। পরে আমি ২০১৫ সালে দেশে এসে সালমার মানুষিক সমস্যা দেখে আরো অভিজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে নিয়ে যাই। তারপরও তার উন্নতি না হওয়ায় আমি সালমার অনুমতিক্রমে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। এর পর আমি উভয় স্ত্রী ও সন্তানদের আমার মনরাজ গ্রামের বাড়িতে রেখে প্রবাসে চলে যাই। কিন্তু গত ৬ মাস আগে আমার প্রথম স্ত্রী সালমা মানুষিক রোগে বেপরোয়া হয়ে উঠে সন্তানসহ সবাইকে মারধর শুরু করে ও প্রায়সময় ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভয়ে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলি আমার বাড়ি থেকে তার বাপের বাড়িতে কাদিপুরের মনসুর গ্রামে চলে যায়। এসময় দুই সন্তানও তাদের মার ভয়ে শিউলির সাথে সেখানে চলে যায়। বর্তমানে আমার দুই সন্তান সেখানে লেখাপড়া করছে। সালমার অতিরিক্ত উন্মাদনা বেড়ে যাওয়ায় আমার পরিবারের লোকজন আমাদের স্থানীয় রাউৎগাও ইউনিয়নের মেম্বার ইসমাইল মিয়া ও সালমার ইউনিয়নের পৃথিমপাশার ইউপি মেম্বার আব্দুল মনাফের মাধ্যমে সালমাকে তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এবং আমি প্রবাস থেকে আমার শশুর বাড়ির লোকজনকে জানিয়েছি তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে টাকা-পয়সা যা লাগে আমি প্রবাস থেকে তা বহন করবো।
এব্যাপারে রাউৎগাও ইউপি মেম্বার ইসমাইল মিয়া ও পৃথিমপাশা ইউপি মেম্বার আব্দুল মনাফ সালমার মানুষিক রোগের সমস্যার সত্যতা মুঠোফোনে স্বীকার করে বলেন সালমা মানুষিক ভারসাম্যহীন থাকায় সালমার পরিবারের কেউ তার দায়িত্ব নিতে চায় না।
মিজানুর আরও বলেন,দুঃখের বিষয় একটি কুচক্রিমহল বিষয়টিকে ভিন্নভাবে নিয়ে আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার সার্থে এলাকায় আমার বিরুদ্ধে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। দৈনিক অধিকারসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত এসব মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মিজানুর রহমান
ওমান প্রবাসী
পিতা:-আত্তর আলীর
গ্রাম: মনরাজ,রাউৎগাও
Development by: webnewsdesign.com