টুডে নিউজ ডেস্ক::
সুবাস নয়,এ ফুলের পরিচিতি তার দুর্গন্ধের জন্য৷এর পোশাকি নাম কর্পস ফ্লাওয়ার বা শবফুল।এই ফুলের গন্ধ পচা মানবদেহের মতো।তবে তার পরও হাজার হাজার মানুষ এক বার তার কাছে যেতে চায়।আকার ও আকৃতির জন্য এই ফুলের আর এক নাম পেনিস প্ল্যান্ট।প্রস্ফুটিত এই ফুলের দিকে তাকালে এক ঝলকে মনে হয় পুরুষাঙ্গের কথা। এই ফুল খুবই বিরল।২০২১সালের ৩০ অক্টোবর এই ফুল দুই যুগ পর ফুটতে দেখছে ইউরোপের মাটিতে দর্শনার্থীরা।
বটানিস্টদের কাছে এই ফুলের পরিচয় অ্যামোরফোফ্যালাস ডেকাস সিলভা৷এর গন্ধ অত্যন্ত উগ্র ও তীব্র৷মনে হয় যেন অসংখ্য পচাগলা মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে৷
এই পচা গন্ধে আকৃষ্ট হয় অসংখ্য মাছি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ৷এই ফুলের আকৃতি বিশাল৷ফুলের ফ্যালিক অংশ উচ্চতায় ৬ ফিট অবধি পৌঁছতে পারে৷বড় হওয়ার জন্য ফুলের দরকার হয় তীব্র গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া৷তাই ইউরোপের মাটিতে এই ফুল ফুটলে তাকে বিরল ঘটনা হিসেবেই ধরা হয়৷
নেদারল্যান্ডসে প্রায় ২৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম ফুটেছে বিরল প্রজাতির পেনিস প্ল্যান্ট। ইউনিভার্সিটি অব লেইডেনের বোটানিক্যাল গার্ডেনে সাড়ে ছয় ফুট লম্বা একটি পেনিস প্ল্যান্ট গাছে ফুলটি ফুটেছে।এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে লেনডেন হটার্স বোটানিক্যাল গার্ডেনে পেনিস প্ল্যান্টে ফুল ফোটার ঘটনা ঘটেছিল।
পেনিস প্ল্যান্ট বিরল প্রজাতির একটি গাছ এবং এতে একবার ফুল ফুটতে ২০ বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।চুরুটের মতো গাছের আকার এবং অস্বাভাবিক গঠনের ফুলের কারণে এটি পেনিস প্ল্যান্ট হিসেবে পরিচিত।তবে এর বৈজ্ঞানিক নাম আমোরফোফ্যালাস ডেকাস-সিলভি।লেইডেনের বোটানিক্যাল গার্ডেনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে,ইউরোপের ইতিহাসে এই নিয়ে মাত্র তৃতীয় বারের মতো পেনিস প্ল্যান্ট গাছে ফুল ফোটার ঘটনা ঘটল।নেদারল্যান্ডসের লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানিক্যাল গার্ডেন ইনস্টাগ্রামে পেনিস প্ল্যান্টের ছবি পোস্ট করেছে৷সঙ্গে লেখা হয়েছে,ফুলটি সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়েছে৷সঙ্গে হাজির এর গন্ধও!এ বারও প্রচুর দর্শনার্থী এই ফুল দেখতে জড়ো হবেন বলে মনে করা হচ্ছে৷এর আগে শেষ বার ইউরোপে এই ফুল ফুটেছিল ১৯৯৭ সালে৷
ইন্দোনেশিয়া ও জাভা অঞ্চলে এই গাছের আদি উৎপত্তিস্থল।নির্দিষ্ট পরিবেশ দরকার হয় বলে গাছটির পরিচর্যা করা অত্যন্ত কঠিন।আর কোনো ভাবে গাছের পরিচর্যা করা গেলেও ফুল ফোটার ঘটনা খুবই বিরল।এই গাছ দর্শনীয় হলেও এর ফুলের গন্ধ পচা মাংসের মতো।
Development by: webnewsdesign.com