মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পলাশ শব্দকর (৯) নামে এক স্কুলছাত্রকে বলাৎকারের পর নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। পলাশ স্থানীয় শংকরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের বালিশ্রী গ্রামের রিকশাচালক পরিমল শব্দকরের ছেলে।
কুলাউড়ার শিশু পলাশ হত্যার ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিরজান আলীর ছেলে জাহেদ আলী (১৫), চাঁন মিয়ার ছেলে রাহেল মিয়া (২৬) এবং মৃত নওয়াব আলীর ছেলে মিরজান আলী (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে কালিটি চা বাগান এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল ১১ টার পর থেকে পলাশকে অনেক খোঁজাখোঁজি করে না পেয়ে সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (নং-১৪৩৫) করে তার পরিবার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বুধবার সকালে নিজের বাড়ির পাশে একটি জমিতে ধান রোপন করছিলো পলাশ শব্দকর। এসময় প্রতিবেশী জাহেদ মিয়া (১৫) পলাশকে ধানি জমি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আর পলাশকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। ওইদিন রাতে কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান পলাশের বাড়ীতে এ বিষয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। সেখানে উপস্থিত একজন সাক্ষী দেয় জাহেদ পলাশকে নিয়ে চা-বাগানের ভেতরে গেলেও বিকেলে সে একা ফেরে। বখাটে জাহেদ তা অস্বীকার করলে সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান জাহেদকে তাঁর পিতা মিরজান আলীর জিম্মায় দেন। পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকালে কালিটি চা বাগানে পলাশের লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পলাশের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ এঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে কুলাউড়া অফিসার ইনচাজ মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বলাৎকারের ঘটনা কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্টের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
Development by: webnewsdesign.com