টুডে নিউজ ডেস্ক::
সাসেক রুটের ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের পূর্তকাজ যৌথভাবে পেয়েছে চীনা ও বাংলাদেশি কোম্পানি।এতে মোট খরচ হবে এক হাজার ৩২০ কোটি ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৬ টাকা।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ প্রস্তাব গুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন,অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।এরমধ্যে এর প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৮টি,কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি,সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি,পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি,খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং সেতু বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।
ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৪৬ কোটি ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৯২৫ টাকা।মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৩ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার ৬০৯ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও এডিবি ঋণ ৩ হাজার ৩ কোটি ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩১৬ টাকা।
সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব গুলোর বিস্তারিত সাংবাদিকদের তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো.আব্দুল বারিক।তিনি বলেন,সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের লট ডিএস-১ এর পূর্ত কাজ যৌথভাবে পেয়েছে চীনের এলআরবিসি এবং বাংলাদেশের এমআইএল-এর কাছ থেকে ৯২৫ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৯২৯ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একই প্রকল্পের লট ডিএস-২ এর পূর্ত কাজ যৌথভাবে পেয়েছে চীনের জেটজেটএইচই এবং বাংলাদেশের এমআইএল-এর কাছ থেকে এক হাজার ৩৯৪ কোটি ৬৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৭ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো-সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে ও গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ সড়কে মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১০৩ কোটি ৪৬ হাজার ৭৪১ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বন্যা ও নদী তীর ভাঙন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিনিয়োগ কর্মসূচি (প্রকল্প-২) প্রকল্পের পূর্ত কাজ যৌথভাবে পেয়েছে দেশীয় কোম্পানি সিআইএল এবং হংজিয়াং।এতে খরচ হিসেবে ১৫১ কোটি ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৬৮ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com