নিজস্ব প্রতিবেদক:: গত ২০ অক্টোবর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের চৌকশ কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর রাকিবুল ইসলাম। গাজীপুরের পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় গাজীপুর সদরের নয়াপাড়া এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৭) কে ৭০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে এসআই রাকিবুল ও এএসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি আভিযানিক দল।
পরে জয়দেবপুর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার মাধ্যমে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। জানা যায় গ্রেফতার আসাদুল এর নামে আগেও বেশ কিছু মাদক মামলা রয়েছে যেখানে আসাদুল ইয়াবাসহ ধরা পড়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতেই। জেল থেকে জামিনে বের হয়েই আবারো জড়িয়ে পড়ছেন মাদক ব্যবসায়। সরাসরি কক্সবাজার থেকে মাদকের চালান এনে পাইকারি মাদক বিক্রি করে থাকেন আসাদুল। মাদকসহ এতো বড় মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর জেলায় প্রশংসায় ভাসছেন গোয়েন্দা শাখার এই কর্মকর্তা। এদিকে মাদক সহ আসাদুল কে গ্রেফতারের পর তার স্বজনরা গোয়েন্দা শাখার এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। এবিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের বিভ্রান্তিতে ফেলে একটি অনলাইনে পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়েছে তার স্বজনরা। যেখানে আসাদুলের স্বজনরা অভিযোগ করেন অভিযানের নামে গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা রাকিবুলের নেতৃত্বে গত মাসে মোটর সাইকেল ও বাড়িতে টাকা পয়সা লুটপাট করা হয়। কিন্তু জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা রাকিবুলের দাবি, স্থানীয়দের সামনেই অভিযান পরিচালনা করা হয় এসময় পরিত্যক্ত মোটর সাইকেল আদালতে জব্দ তালিকায় দেয়া রয়েছে যা উর্ধ্বতন স্যারেরা অবগত আছেন। তিনি আরো বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা বাস্তবায়নে উর্ধ্বতন স্যারদের নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে। কোনো ধরণের অপপ্রচার আমাকে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এতো বড় মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম কে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলার সচেতন মহলের প্রশ্ন এক মাস আগের লুটপাট করার অভিযোগ কেন আসাদুলকে ৭০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর করা হলো? টাকা ও মোটর সাইকেল লুটপাট করা হলে এক মাস পেরিয়ে গেলেও তার স্বজনরা কেন কোথাও অভিযোগ করেননি। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি মাদকের বিরুদ্ধে হওয়া অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই গ্রেফতারের পর লুটপাটের অভিযোগের নাটক সাজানো হচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com