প্রসঙ্গ চাল চোর

ঠাকুর ঘরে কেরে? না না আমি কলা খাইনা…

বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০ | ১:১৭ অপরাহ্ণ | 740

ঠাকুর ঘরে কেরে? না না আমি কলা খাইনা…

সারা বিশ্বের বিশ্ময় ঘাতক করোনা ভাইরাসের ছোবলে ক্ষত বিক্ষত সারা পৃথিবী। প্রতি মিনিটে মিনিটেই আসছে মৃত্যুর পরওয়ানা, প্রতি দিন কত মানুষ হারাচ্ছে তার প্রিয়জনকে। শত ইচ্ছা থাকলেও ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে শেষ বিদায়টুকু দিতে পারছে না কলিজার টুকরো মা, বাবা, ভাই, বোন, বিবি বাচ্চাসহ নিকটাত্মীয়দের।

অতি কাছে থেকে আপনজনের মৃত্যুর যন্ত্রণা উপভোগ করা আর গলাকাটা মুরগির ন্যায় চটপট করা সমান কথা।



দুনিয়ার এই কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই আমরাও বেচেঁ আছি খেয়ে না খেয়ে, মালিক ও মওলার উপর ভরসা রেখে। আমাদের দেশেও এখন পর্যন্ত অনেকে মারা গেছেন, আবার অনেকেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন,আমি আমরা এখনো সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যেনো মহামারী আকার ধারণ না করে সে জন্য আমাদের সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মাঠ প্রশাসন, যেমন -জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অফিসার ইন্চার্য,ওসি তদন্ত, উপজেলা সাস্থ্য কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি দিনরাত্রি কাজ করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সারাবিশ্বে মোট এক লক্ষ আটারো হাজার লোক মারা গেছেন আর আক্রান্তের সংখ্যা উনিশ লক্ষের অধিক। বাংলাদেশে মৃত্যুর পরিমাণ উনচল্লিশ ও আক্রান্তের পরিমাণ আট শত তিন জন।( সুত্র, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি)

দেশ লকডাউন এর কারনে কৃষক, শ্রমিক, কামার, রংমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রির, রাজমিস্ত্রি, রিকশা চালক, ঠেলা ও ভেন চালক সহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। মানবেতর জীবনযাপন করছেন লক্ষ লক্ষ বিপদগামী মানুষ। সরকার সাধ্যনুযায়ী চাল,ডাল তৈল, পিয়াজ সহ খাদ্য সামগ্রী জনগনের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার প্রানপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঠ প্রশাসন ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী সুষ্ট ভাবে বিতরণের কঠোর হুশিয়ারী দেয়ার পরেও সরকার কে হুচট খেতে হচ্ছে বার বার। নেহায়েত অসহায় মানুষগুলোর জন্য বরাদ্দ কৃত খাদ্য সামগ্রী রাক্ষসের মতো গিলে খাচ্ছে জনগন দ্বারা নির্বাচিত মানুষ রুপি কিছু অমানুষ।

গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ার কল্যানে ছোট খাটো দু চারটা চাল চোরের মুখোশ উন্মোচিত হলেও রাগব বোয়ালরা ধরাছুয়ার বাহিরে।কিছু কিছু প্রতিনিধি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের আত্বীয় স্বজন কে একাধিক বার খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছেন, কোন কোন পরিবারে জনপ্রতি প্যাকেট দিলেও অনেক পরিবারে পরিবার প্রতিও দিচ্ছেন্না খাদ্য সামগ্রী ,যা শুধু অনৈতিকই নয় আইন ও মানবতা বিরোধী বটে।

আত্বীয় করন, দলীয় করন, স্বজনপ্রীতি আর ভিন্ন কৌশলে গরীবের হক নষ্টকারি কিছু জনপ্রতিনিধির ভাব দেখে মনে হয় ঠাকুর ঘরে কেরে? আমি কলা খাইনা।#

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com