বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মধ্যেই এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। এর মাঝে দেশব্যাপী চলছে লকডাউন। এ অবস্থায় সারা দেশের মতো শায়েস্তাগঞ্জেও ইফতারের বাজারে ভিড় নেই।
আজ বুধবার ১২তম রমজানে শায়েস্তাগঞ্জ কোথাও ছিল না ইফতার কেনা-বেচার ধুম। রাস্তায় মানুষ নেই, যানবাহন নেই, তাই নেই বাহারি ইফতার কেনা-বেচার ব্যস্ততা। এ এক অন্যরকম রমজান মাস উদযাপন করতে চলছে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
শতশত বছর ধরে রমজানে ইফতার বিকিকিনির জমজমাট দৃশ্য রোজাদারদের মনে আলাদা একটা আবহ তৈরি করলেও এবারের দৃশ্য ভিন্ন। নেই বাহারি ইফতার, নেই হাঁকডাক।
সরেজমিনে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জের এর গলিতে গলিতে নেই বাহারি ইফতারের মেলা। তবে কোন কোন দোকানদার সীমিত আকারে কিছু ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরের গুলে মদিনা হোটেল এর ম্যানেজার কাউসার আহমেদ বলেন, ‘ভাই ১মাস দশদিন ধরে দোকান বন্ধ। বাঁচার আর কোন উপায় দেখসি না। তাই জীবন বাঁচাতে কিছু জিনিস বানাইতাছি বিক্রি করার জন্য।’
সুতাং বাজারের ব্যবসায়ী কালা মিয়ারও একই অবস্থা। তিনি বলেন, প্রতিবছর জিলাপি কেজি ৮০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, পেঁয়াজু ১০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করেন। কিন্তু এবার ক্রেতা নেই বললেই চলে। আর দোকান মাত্র দুই ঘন্টা খোলা রাখেন তিনি। তবে রোজাদাররা হরেকরকম ইফতারি না পেয়ে ফলমূলের দিকে নজর দিচ্ছেন। অনেকেই ইফতারিতে আপেল, মালটা, তরমুজ কিনে নিচ্ছেন হাতের নাগালের দামের মধ্যেই।
ফল কিনতে আসা পুটিয়া গ্রামের স্কুল মাস্টার সুজন মিয়া বলেন, করোনার কারণে সবরকম ইফতারির আইটেম বাড়িতেই তৈরি করে খান তারা। তিনি শুধু খেজুর নিতে এসেছেন বাজারে।
এদিকে অন্যবারের মতো যেমন বাজারে ইফতার সামগ্রী নেই, তেমনি নেই আস্ত মুরগির ফ্রাই, জালি কাবাব, সুতি কাবাব, টিকা কাবাব, শাহী কাবাব, কবুতরের রোস্ট, কোয়েলের রোস্ট, ডিম চপ, ডিম কোপ্তা, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, দইবড়া, হালিম, লাচ্ছি, পনির কিংবা বাহারী স্বাদের নানা খাবার।
তবে মানুষের আশা, অচিরেই স্বাভাবিক হবে পৃথিবী। আগের মতো মুক্ত বাতাসে হাঁটবে মানুষ আর চিরচেনা রূপে ফিরবে বাংলাদেশ।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com