হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুশিয়ারা নদীর পানি হবিগঞ্জ অংশে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি আরও বাড়তে পারে বলে দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
এদিকে, পানি যত বৃদ্ধি পাচ্ছে তথই বাঁধ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তবুও বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা।
কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা গেছে, অনেকস্থানে নদীর বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার দিগলবাক, পার্কুল, আলীপুর, করিমপুর, ইনাতগঞ্জ, কসবা, নতুন কসবা, কাতিয়া, ফেসি, আটগর, মাধবপুর, কারনিছড়, জলালপুর, সৈয়দপুর, ফাইলগাঁও, পুরান আলাকন্দিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়া বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী, সাওদেশ্বরী, ধীতপুর ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর, বদলপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ ওইসব এলাকায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার থেকে কাজ করছে। বাঁধ রক্ষার জন্য বড় নৌকায় করে দূর-দূরান্ত থেকে বালুর বস্তা এনে বাঁধে ফেলছে। এর মধ্যে নবীগঞ্জের দিগলবাক, পার্কুল ও কুশিয়ারা ডাইক অংশে বাঁধ রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। প্রচন্ডবৃষ্টিতে দিনরাত চেষ্টার পরও অনেক অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে বাঁধের বেশ কয়েকটি অংশে।
এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে কুশিয়ারার বাঁধের এ অবস্থা হয়। কিন্তু সরকার বাঁধ সংস্কারের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় নদী তীরবর্তী হাজার হাজার বাসিন্দাদের।
হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ভাঙন রোধে সেখানে বস্তা ফেলার কাজ চলছে।’
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com