নিজস্ব প্রতিবেদক:: কুলাউড়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করলেও নতুন লাইনের কাজ শুরুর ১বছরেও সম্পন্ন হয়নি। একাধিক গাছে ঝুঁলছে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন! অনেক এলাকায় ৫লাইনের জায়গায় ৪লাইনের কাজ করে বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর ফলে পৌরসভার সড়ক বাতী না জ্বলায় চরম দুর্ভোগে পোয়াচ্ছেন স্থানীয়রা। সন্ধ্যা হলেই ভূতরে অবস্থা সৃষ্টি হয় এসব এলাকায়। এর মধ্যেই অন্ধাকারে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। কিছুদিন আগে এক স্কুল শিক্ষক ওই এলাকায় ছিনতাইয়ের কবলে পরেন। স্থানীয়রা জানান এর আগে একজন মহিলাসহ দুইটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া কুলাউড়া সরকারী কলেজের পেছনের সড়কে সন্ধ্যা হলেই বহিরাগত যুবকেরা নেশা করতে আনাগোনা শুরু করে। এতে করে অনেক রিকশা চালকেরা এ সড়ক দিয়ে আসতে রাজি হয় না।অধিকাংশ সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের তার রয়েছে।
জানা যায়, খুঁটি স্থাপন করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে গাফলতি করছে। স্থানীয়রা দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে তাগিদ দিলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে না।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, এই অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন তারা। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করলেও সমস্যার সমাধান পাননি ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুলাউড়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের লস্করপুর মরহুম লাল মিয়া মেম্বারের বাড়ির সামনা হইতে দেওরকোনা পর্যন্ত, লস্করপুর শিমুলের বাড়ী হইতে রাজেন্দ্র বাড়ী পর্যন্ত, মতি মিয়া বাড়ী থেকে নাজমুলের বাড়ী, মমরেজপুর বি.এ.ডি.সির গুদাম হইতে মিজানুরের বাড়ী পর্যন্ত, মমরেজপুর গুদাম হইতে মুনীর সাজেবের বাড়ী পর্যন্ত, চাঁনপুর বাদশা চেয়ারম্যানের বাড়ী হইতে আমির আলীর বাড়ী পর্যন্ত, জগন্নাথপুর পয়েন্ট হইতে খালেদ ও এলাই মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত।নতুন লাইন সরবরাহে কোথাও পুরো কাজ সম্পন্ন হয়নি।
এ বিষয়ে কুলাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদীন বাচ্চু জানান, নির্ধারিত সময় শেষ হলেও ঠিকাদারের অবহেলায় নতুন খুঁটি স্থাপন ও সরবরাহ লাইনের কাজ শেষ হয়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী জানালে তিনি বলেন প্রজেক্টের বিষয় আমার কিছুই করার নেই।
এ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জে.এইচ গ্রুপের জাহাঙ্গির হাসান মানিকেএর মঠোফোনে যোগাযোগ করলে পাওয়া যায়নি।
Development by: webnewsdesign.com