মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯ |
১১:০৭ অপরাহ্ণ | 545
কুলাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে ও এনজিও সংস্থা ল্যাপরা বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় কুষ্ঠ রোগ সনাক্তকরন ও চিকিৎসা প্রতিরোধে করনীয় এডভোকেসি সভা ২২ জুলাই সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল হকের সভাপতিত্বে ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও টিএলসিএ ভারপ্রাপ্ত মোঃ আব্দুল আহাদ চৌধুরীর পরিচালনায় কুষ্টরোগ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন এনজিও সংস্থা ল্যাপরা বাংলাদেশ এর সিলেট বিভাগীয় মনিটরিং অফিসার শ্যামল দত্ত, মৌলভীবাজার জেলা স্যানেটারী ইন্সেপেক্টর ও ল্যাপরা বাংলাদেশের প্রগ্রোম অগ্রাইজার দিপকংর ভম্ম্যচারী, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মোঃ খালেদ পারভেজ বখশ, রাবেয়া আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম, ল্যাপরা বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম, কুলাউড়া স্যানেটারি ইন্সেপেক্টর জসিম উদ্দিন আহমদ,স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
অনুষ্টানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ ইকবাল আহমদ ও গীতা পাঠ করেন রিপন আচার্য্য। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এডভোকেসী সভায় আগত ১০ জন নারী-পুরুষ কুষ্ট রোগীর সঠিক চিৎকিসা ও রোগ থেকে ভাল হবার নানা বিষয় আলাপ আলোচনা ছাড়াও নতুন রোগি খুজে বের কুষ্ঠ রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসা দেবার ক্যবস্থা করা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল হকসহ বক্তরা বলেন,মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি নামক ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে কুষ্ঠ রোগ হয়। কুষ্ঠ রোগ সাধারনত ত্বক, চোখ, নাকের মিউকাস মেমব্রেন, মস্তিষ্ক, মেরুদন্ডের বাইরের দিকের স্নায়ু এবং অন্ডকোষের ক্ষতি করে। বিশেষ করে নিঃশ্বাসের সাথে এ রোগ ছড়াতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘ সময় ধরে মেলামেশার ফলে কুষ্ঠ রোগ হতে পারে। যে কোন বয়সেই কুষ্ঠ রোগ হতে পারে। তবে সাধারনভাবে ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী অথবা ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি দেখা যায়। ত্বকে লালচে দাগ অথবা মসৃণ সাদাটে দাগ দেখা যায়। ত্বকের যেসব স্থান সংক্রমিত হয় সেসব জায়গায় পিন্ড দেখা যায় বা ফুলে যায়।স্পর্শ, ব্যথা এবং তাপমাত্রার অনুভূতি হ্রাস পায়। রোগ নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত স্থানের ত্বকের টিস্যু পরীক্ষা এবং রক্তের পরীক্ষা করতে হতে পারে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার নতুন কুষ্ঠ আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। অপুষ্টি ও সচেতনতার অভাবেই এ রোগের প্রার্দুভাব বাড়ছে। সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমেই এই রোগের প্রতিরোধ সম্ভব। কুষ্ঠ কোন মরণব্যাধি নয়, এটিকে সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।
শতকরা প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের দেহে এ রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে এ রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই রোগ নিয়ে আর কোন সংশয় নয়। সঠিক চিকিৎসায় কুষ্ঠ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়। তাই, সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করতে হবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অন্যান্য হাসপাতালে কুষ্ঠ রোগ চিকিৎসা কেন্দ্রে বিনামুল্যে এ রোগের চিকিৎসা পাওয়া যায়।সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে কষ্ঠ রোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।