কুলাউড়া প্রতিনিধি:: নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে কুলাউড়া উপজেলার নব-প্রতিষ্ঠিত পাইকপাড়া এম এ আহাদ আধুনিক কলেজ। এ উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তব্য, গান ও খেলাধুলার আয়োজন, আলোচনা সভা এবং প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পুরষ্কৃত করা হয়। ওইদিন কলেজের প্রথম বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে।
উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ওই কলেজের পক্ষ থেকে সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে হাজীপুর ও পার্শ্ববর্তী শরিফপুর ইউনিয়নে বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হাজীপুর সোসাইটির সভাপতি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর নুরুল মান্নান চৌধুরী (তারাজ)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য আজিজুস সামাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ চিন্ময় দে। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কলেজ সাংগঠনিক কমিটির সদস্য ফজলুল হক। কলেজের প্রভাষক আলাউদ্দিন কবিরের পরিচালনায় অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজল উদ্দিন আহমদ, সংবর্ধিত অতিথি শরিফপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা ও হাজীপুর সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক শামছুর রহমান সাজু, সংবর্ধিত অতিথি ইউপি সদস্য নুর আহমদ চৌধুরী বুলবুল, কলেজ সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক, সাংবাদিক ছয়ফুল আলম সাইফুল।
আরো বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি ইউপি সদস্য আব্দুল মুনিম, রাজা মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, মাধবী রানী দেব ও নিপা রানী দাস। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ সাংগঠনিক কমিটির সদস্য ও হাজীপুর সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ এ কে শামছু, পাইকপাড়া এম এ আহাদ আধুনিক কলেজের প্রভাষক মোঃ মইনুল ইসলাম, চয়ন দে, ফারহানা জান্নাত, শারমিন আফরোজা শাম্মী, সৈয়দা ফেরদৌস আরা, সৈয়দা তাহমিনা বেগম, অফিস সহকারি মনিদ্বীপ গোস্বামী, অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট শাখার পরিচালক নিখিল চন্দ্র মল্লিক, আক্তার হোসেন, বিকাশ দাস শংকর প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত মেজর নুরুল মান্নান চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের এলাকার মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সিলেট অঞ্চলের মধ্যে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ ২৭ মার্চ আমাদের এই শমসেরনগরে হয়েছিলো। হাজীপুর, শরিফপুর, পতনউষার এলাকার অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। শরিফপুরের ন’মৌজা এলাকাটি কখনও পাক বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। কারণ এটি মুক্তিবাহিনীর দূর্গ ছিলো এবং এখানে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মূল রূপকার। তাঁর নেতৃত্বেই মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো। পাকিস্তানি বাহিনীর চরম শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়নই বাঙালী জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ কাজ করেছিলো। তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া অনেক সাহসের ব্যাপার ছিলো। তখনই এখানকার অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বীরত্ব দেখিয়েছেন। তিনি সংবর্ধিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বলেন, নবনির্বাচিতরা সমাজ পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন। আশাবাদী আপনারা সমাজের অনুশাসনগুলো প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবেন। তিনি এই কলেজের সার্বিক অগ্রগতিতে সহায়ক হিসেবে পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে দ্বিতীয় পর্বে তিনি কলেজের সাংগঠনিক কমিটি ও প্রভাষকদের সাথে কলেজের সার্বিক চিত্র নিয়ে মতবিনিময় করেন। তিনি কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও মনোনিবেশ হয়ে সকলকে কাজ করার আহবান জানান। তিনি সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন জানিয়ে বলেন এ পেশায় ভালো শিক্ষক হতে হলে প্রচুর স্টাডি করতে হবে। শেখার শেষ নেই। যতটুকু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করান না কেন তা বুঝিয়ে শেখানোর চেষ্টা করবেন। তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক আদায় করে নিবেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অবসরপ্রাপ্ত মেজর নুরুল মান্নান চৌধুরীকে কলেজের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com