ইউসুফ আহমদ ইমন, কুলাউড়া :: সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি (কোভিড-১৯) করোনাভাইরাস। এর থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে মহামারি করোনা যুদ্ধে প্রথমসারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মীরা।
আর তাই নিজেদের জীবনের মায়ার কথা চিন্তা না করে কুলাউড়া উপজেলা মানুষের সেবায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নূরুল হকের নেতৃত্বে প্রাণঘাতি ভাইরাসের কবল থেকে কুলাউড়া উপজেলার মানুষকে রক্ষা করতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত ছুঁটে বেড়াচ্ছেন। তারা প্রতিনিয়ত হাসপাতালে অবস্থান করে কুলাউড়াবাসীকে দিয়ে যাচ্ছেন নিরবিচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিন গেলে কথা হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ নূরুল হকের সাথে। তিনি জানান, কুলাউড়া মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১২জন। এর মধ্যে ৮জন পুরোপুরি সুস্থ্য। নতুন করে গত (৩১ মে) আরো ৩জনের করোনা পজেটিভ আসে। তিনজনই আইসোলেশনে। তাঁদের পরিবারের অন্যসদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়ে ২৪টুডেনিউজের প্রতিবেদক কে ডা. মোহাম্মদ নূরুল হক, কুলাউড়াবাসী যদি করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক গৃহীত ও করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনাগুলি যথাযথভাবে মেনে চলে তাহলে উপজেলার মানুষ করোনামুক্ত থাকতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও তিনি হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা সবাইকে মাস্ক পরে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন।
এদিকে করোনাযুদ্ধের সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরোটরি) সাইদুর রহমান চৌধুরীও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছেন। করোনার শুরু থেকে নিজের পরিবার-পরিজন ছেড়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ’ এর নমুনা সংগ্রহ করে আসছে। ঝুঁকি আছে জেনেও পেশাদারিত্ব আর মানবতার টানে হাসিমুখেই এ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। নমুনা সংগ্রহের কাজে উপজেলার স্যানিটারি পরিদর্শক জসিম উদ্দিন তাঁকে সহযোগিতা করে থাকেন।
Development by: webnewsdesign.com