সিনেমা নাটকের অফার অনেক পেয়েছি কিন্তু আমার কাছে ফ্যাশন ইন্ড্রাস্টি ভালো লাগে। আমি এখানে কাজ করতে আনন্দ পাই। যখন আমি এই জায়গাটা চুজ করেছি কাজ করার জন্য অনেকেই আমাকে বলছে যে ফ্যাশন ইন্ড্রাস্টিতে কে চিনবে? কিন্তু তারপরেও আমি এখানেই কাজ করা শুরু করছি এবং করছি। আসলে পরিশ্রম করলে মানুষ সব কিছুই করতে পারে।আমার এই জায়গাটায় আসতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কথাগুলো বলছিলেন দেশের জনপ্রিয় মডেল ও কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা।
১৯৯৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই মডেলিং শুরু করেন। তার দীর্ঘ পথচলার গল্প ও সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেন। লিখেছেন অরণ্য শোয়েব-
বুলবুল টুম্পা : দেশের এই অবস্থায় আনন্দ করার সময় কি মানুষের আছে! যেভাবে ঈদটি কাটার কথা সেভাবে কাটেনি। বরং বাসায় ছিলাম।পরিবার পরিজনকে সময় দিয়েছি। বাড়তি কোনো আয়োজন ছিলোনা। নিস্তব্দতায় কেটে গেছে সারাদিন।
প্রতিবেদক : এই ঈদে ব্যতিক্রম কি পেলেন?
বুলবুল টুম্পা : আগের কথাই বলতে হচ্ছে যে, আগের ঈদের মতো এই ঈদে কোনো আনন্দ তেমন ছিলো না। পুরোই আলাদা কেটেছে। গতবার ঈদে যেমন সবার সাথে দেখা হয়েছে কথা হয়েছে এবার তা হয়নি। আড্ডা, উৎসব কিছুই ছিলো না। ঘরে বন্দি অবস্থায় কেটেছে দিন।
প্রতিবেদক : ঘরবন্দী সময়টাতে বিশেষ কি করছেন?
বুলবুল টুম্পা : আমি তিন মাস ধরেই বাসাতেই আছি।পরিবারের সাথেই আছি। রমজান মাস গেলো রোজা রেখেছি, নামাজ পড়েছি।ফ্যাশন রিলেটেড কিছু কাজ ছিল এবং একটি ফ্যাশন শো ছিল যেটি আমি বাসা থেকেই সামলেছি। মডেলদের কাপড় পাঠিয়েছি ফ্যাশন ডিজাইনাদের মাধ্যমে।
২২ বছর ধরে কাজ করে আসছি। কিন্তু গত তিন মাস যাবত বসা। কাজ করছিনা একটু তো অন্যরকম লাগবেই।এছাড়া করোনার মধ্যে দুই মাস আগে অস্ট্রেলিয়ান ইউজিবি নামে একটি সংস্থার ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হয়েছি। এর মাধ্যমে অনেক কাজ করেছি। রোজার মধ্যে ইফতার দিয়েছি। টুকিটাকি অনেক সাহায্য করেছি এবং চেষ্টা আছে ভবিষতেও করার।
মাঝেমধ্যে লাইভ করছি। সবার উদ্দেশে কথা বলছি। এই সংস্থাটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষদের পাশে থাকা।
প্রতিবেদক : করোনাতে ফ্যাশন ইন্ড্রাস্টির কেমন ক্ষতি হলো ?
বুলবুল টুম্পা : পুরো পৃথিবী থেমে গেছে। সব সেক্টরেই ক্ষতি হয়েছে। আলাদা করে তো এটি বলার অবকাশ রাখে না। ফ্যাশনের জায়গাটা এমন যেখানে অনেক মানুষের সমাগম হয়। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মূলধারার কাজ করা সম্ভব নয়। তবে হ্যা ফটোশুট করা যায়। কিন্তু তাতে তো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি চলে না। কত বড় বড় শো হতো, সব বন্ধ। অনেক মানুষ বেকার। কারণ এখন নতুন পণ্য আসছে না, বাজারজাতকরণ প্রায় বন্ধ। ফ্যাশ্ন বা মডেলিংও থমকে আছে। সেদিক থেকে করোনায় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতেও ধ্বস নেমেছে বলা যায়।
প্রতিবেদক : এই মুহূর্তে কোন বিষয়টি আপনার ভালো লাগছে?
বুলবুল টুম্পা : পুরনো বন্ধুত্বগুলো আবারো ফিরে পাচ্ছি যা যান্ত্রিক সময়ের ব্যস্ততায় হারিয়ে গিয়েছিলো। ফোনে আলাপ হচ্ছে সবার সাথে। পরিবারের সাথে সময় কাটানো যাচ্ছে। যেটি খুব একটা হতো না। এখন সময়টা পরিপূর্ণভাবেই কাটছে। প্রচুর সিনেমা দেখছি।
প্রতিবেদক: শেষ কি বলতে চান?
বুলবুল টুম্পা : আমরা নিজেরা ঠিক হলে পৃথিবী ঠিক হবে।আমরা সব সময় সচেতন থাকবো এবং সবাই যেন হাসিমুখে সবার সাথে কথা বলি সে চেষ্টা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সকল কিছু দেখে শুনে চলতে হবে।
প্রতিবেদক : শেষ দুই প্রশ্নের উত্তর চাই
১/ কে বেশি জনপ্রিয়- বুলবুল টুম্পা নাকি বিবি রাসেল ?
উত্তর : অবশ্যই বিবি আপু। বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি আন্তর্জাতিক একটি জায়গায় রয়েছেন। আমাদের আইডল। আর আমার ব্যাপারটা হলো আমি মানুষের ভালোবাসা পাই এটাই অনেক ইম্পরট্যান্ট। একটা স্ট্রাগল করেছিলাম নতুন পথে প্রতিষ্ঠিত হতে, সেটা কিছুটা হলেও পেরেছি এটা তৃপ্তি দেয়।
২/ আপনি অনেক সিনেমা দেখেন। আপনার অনেক পছন্দের নায়ক নায়িকা থাকবে স্বাভাবিক৷ তবে জানতে চাইবো আপনার অপছন্দের নায়ক নায়িকা কে?
উত্তর : কঠিন প্রশ্ন। আমি এটি দিতে চাই না। তবে এটাও ঠিক আমি আজ অব্দি এভাবে চিন্তা করিনি যে আমার অপছন্দের নায়ক নায়িকা কারা।
সৌজন্যে : জাগো নিউজ ২৪
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |
Development by: webnewsdesign.com