গতকাল শুক্রবার চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। পরীক্ষায় কৃতকার্য সব শিক্ষার্থীকে আমাদের অভিনন্দন। ফলাফল মূল্যায়নে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ৭.০৫ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ও কমেছে।
এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এ বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি। পরীক্ষায় ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। গত বছর এমন প্রতিষ্ঠান ছিল ৫০টি। জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডে ৭৭ দশমিক ৫৫, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৮ দশমিক ২৯, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪২, বরিশাল বোর্ডে ৯০ দশমিক ১৮, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৪৯, রাজশাহী বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৮৯, যশোর বোর্ডে ৮৬ দশমিক ১৭, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৬ দশমিক ৮৪ ও সিলেট বোর্ডে ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ পাস করেছে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের জীবনে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পাসের হার বাড়ানোর চেয়েও বেশি জরুরি শিক্ষার মান বাড়ানো। এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি কতটা হচ্ছে তার যথাযথ নিরীক্ষা হওয়া দরকার। কারণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একটি বড় অংশ পরবর্তী ধাপে পৌঁছানোর আগেই ঝরে পড়ছে। তবে এটা স্বীকার করতে হবে যে বর্তমানে পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা কমে গেছে- এটা ঠিক, তবে এখনো দেশে নোট-গাইড বইয়ের দৌরাত্ম্য, কোচিং বাণিজ্য ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংস্কৃতি বন্ধ হয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এগুলো শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এ বিষয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আরো দৃষ্টির প্রয়োজন। বলতেই হয়, সঠিক পথে এগিয়ে যেতে হলে উত্তীর্ণদের কলেজ বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিকল্প নেই। ইতোমধ্যেই সরকারি-বেসরকারি প্রণোদনায় দেশে এ জাতীয় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ধারণা করা যায়, এসএসসি উত্তীর্ণদের ভর্তি নিয়ে সংকট থাকবে না। তবুও প্রত্যেক কৃতকার্য শিক্ষার্থীর যোগ্যতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তির সুযোগসহ সুশিক্ষা নিশ্চিত করাও বিশেষ জরুরি।#
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com