সিলেট করোনার নমুনা সংকট!

সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০ | ২:৪৫ অপরাহ্ণ | 545

সিলেট করোনার নমুনা সংকট!

হঠাৎ করে সিলেটে পাল্টে গেছে করোনার নমুনা পরীক্ষার চিত্র। শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নমুনা দিতে আসা লোকজনের সেই ভিড় আর নেই। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে এখন অপেক্ষা করতে হয় না দিনের পর দিন। এতোদিন নমুনা সংগ্রহ নিয়ে টেকনিশিয়ান আর পরীক্ষা নিয়ে ল্যাব কর্তৃপক্ষ হিমশিম খেলেও এখন অনেকটা অলস সময় পার করছেন তারা।

অবিশ্বাস্য মনে হলোও সত্য এখন রীতিমতো নমুনা সংকটে ভূগছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব। পরীক্ষার ফি নির্ধারণ ও বন্যার কারণে করোনা পরীক্ষা করাতে আসা লোকজনের সংখ্যা কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেটে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে যায় নমুনা পরীক্ষাও। করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ নমুনা দিতে ভিড় করেন শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। উপজেলাগুলো থেকেও আসতে থাকে নমুনা। সেই নমুনার চাপে ত্রাহি অবস্থা ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে দায়িত্বরতদের। কয়েক দিন পর পর কয়েক হাজার নমুনা পাঠাতে হতো ঢাকায়। ঢাকা থেকে রিপোর্ট পেতে সময় লাগতো প্রায় দুই সপ্তাহ। পজেটিভ রিপোর্ট আসার আগেই অনেকে সুস্থ হয়ে ওঠতেন। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভেরও সঞ্চার হয়। দাবি ওঠে সিলেটে ল্যাব বাড়ানোর। এই দাবিতে সিলেটের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদনও পাঠান।

শুরুতে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে প্রতিদিন দুই রাউন্ডে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হতো। পরে নমুনার চাপ বেড়ে যাওয়ায় তা বাড়িয়ে ৬ রাউন্ডে ৫৬৪টি পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে কমতে থাকে নমুনার পরিমাণ। এখন প্রতিদিন সিলেট নগরী ও জেলার সবকটি উপজেলা থেকে এক রাউন্ডের অর্থাৎ ৯৪টি নমুনাও সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। নমুনা সংকটের কারণে গত বৃহস্পতিবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পুরো এক রাউন্ড টেস্ট করাও সম্ভব হয়নি।

নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা গেছে, গত মে ও জুন মাসে সিলেটে করোনাভাইরাস পরীক্ষা বিবেচনায় সনাক্তের পরিমাণ ছিল ২৫-৩০ শতাংশ। জুলাই মাসেও সনাক্তের গড় হার একই আছে। কিন্তু জুলাই মাসের শুরু থেকে হঠাৎ করে নমুনা পরীক্ষাকারীদের সংখ্যা কমতে থাকে। ১ জুলাই থেকে ফি আদায় ও সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়ায় করোনা পরীক্ষা করতে আসা লোকজন কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও ল্যাব প্রধান অধ্যাপক ডা. ময়নুল হক জানান, হঠাৎ করে নমুনার পরিমাণ অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে পরীক্ষা নিয়ে ল্যাবের সবাই হিমশিম খেতে হতো, এখন সেখানে নমুনার জন্য আমাদেরকে পথের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। নমুনা সংকটের কারণে এখন ১-২ রাউন্ডের বেশি পরীক্ষা করাই সম্ভব হচ্ছে না।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com