সম্প্রসারিত হচ্ছে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র

শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | 75

সম্প্রসারিত হচ্ছে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র

টুডে নিউজ ডেস্ক::

দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছে সরকার।স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।হবিগঞ্জে খনি এলাকায় বর্তমান চুক্তিবদ্ধ এলাকার বাইরে পার্শ্ববর্তী আরও ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে বর্তমান ইজারাদার বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনকে।চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়,বাংলাদেশে ২৫ বছর ধরে কাজ করছে শেভরন।সবচেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিও এটি। পেট্রোবাংলার সঙ্গে শেভরনের দীর্ঘ আলোচনার পর শেভরনকে বিবিয়ানা সম্প্রসারণের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন।জ্বালানি বিভাগও এটি অনুমোদন করেছে।এখন অর্থ বিভাগের অনুমোদন পাওয়ার পর চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। আগামী বছরের প্রথম ভাগে নতুন এলাকায় কূপ খনন শুরু হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন,বিবিয়ানায় চুক্তিবদ্ধ এলাকার বাইরে আরও ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকা শেভরনকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।চলতি সেপ্টেম্বরেই এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশে উত্পাদনরত গ্যাসক্ষেত্র গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্যাস উৎপাদন করছে বিবিয়ানা।এতে দৈনিক ১৩০ কোটি থেকে ১৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়,যা দেশের বাকি সব গুলো গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদিত মোট গ্যাসের অর্ধেকের চেয়েও বেশি। ২০৩৭ সাল নাগাদ বিবিয়ানা পরিত্যক্ত হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

জানা যায়,নতুন এলাকায় গ্যাস কূপ খননের জন্য বাংলাদেশে নতুন করে বিনিয়োগ করবে শেভরন।প্রাথমিকভাবে বিদ্যমান চুক্তিবদ্ধ এলাকায় বি২৭ ও বি২৮ নাম্বার কূপ এবং নতুন এলাকায় বি২৯ কূপ খনন করবে শেভরন।দেশে এত দিন খাড়াভাবে কূপ খনন করা হলেও এবারই প্রথম আড়াআড়ি ভাবে গভীর কূপ খনন করা হবে।নতুন এলাকায় কূপের গভীরতা ৮ হাজার মিটার এবং বিদ্যমান এলাকায় তা ৪ হাজার মিটার পর্যন্ত গভীর হতে পারে।২০২৩ সালের মার্চের দিকে নতুন কূপ খনন শুরু হবে।

পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান,এর আগেও শেভরন আড়াআড়ি ভাবে কূপ খননের অনুমোদন চেয়েছিল।কিন্তু তখন সরকার সে অনুমোদন দেয়নি।গ্যাস সংকট তীব্র হওয়ার পর এবার সে অনুমোদন দিল।আগের উৎপাদন অংশী দারিত্ব চুক্তির মতোই (পিএসসি) নতুন চুক্তি সই হবে।দেশে বর্তমানে দৈনিক ২৮০ থেকে ৩০০ কোটি ঘন ফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে।এর মধ্যে ৫৫ কোটি ঘন ফুটের বেশি আসে আমদানিকৃত এলএনজি থেকে।গ্যাসের চাহিদার চেয়ে ঘাটতি ১০০ কোটি ঘনফুট ছাড়িয়েছে।

জানা যায়,১১,১২,১৩ ও ১৪ নম্বর ব্লকে জরিপ পরিচালনা করছে শেভরন।১১ নম্বর ব্লকে গ্যাস পাওয়া গেলে সেটিও শেভরন বিশেষ আইনে ইজারা চায়।যদিও ব্লকটি বর্তমানে সরকারি কোম্পানি বাপেক্সের আওতায় রয়েছে।১২,১৩ ও ১৪ ইতিমধ্যে শেভরনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য,১৯৯৮ সালে সিলেটের হবিগঞ্জ জেলায় ১২ নম্বর ব্লকে দেশের অন্যতম বৃহৎ এই গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে মার্কিন কোম্পানি ইউনিকল।পরে তারা বাংলাদেশে তাদের সম্পদ আরেক মার্কিন কোম্পানি শেভরনের কাছে বিক্রি ও হস্তান্তর করে।

সূত্র: ইত্তেফাক।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com