শাবিতে এমসি কলেজ শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা!

সোমবার, ০২ মার্চ ২০২০ | ১০:৪৪ অপরাহ্ণ | 499

শাবিতে এমসি কলেজ শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা!

সিলেট এমসি কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সাথে অসদাচারণ ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া এমসি কলেজের ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক সিলেট এমসি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আলাউদ্দিন খান। তিনি শাবিপ্রবি’র পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামছুন নাহার বেগমের স্বামী।

সোমবার বিকেলে দাবি মেনে নিতে আল্টিমেটামসহ বিভাগের ১৬১ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৩০তম বছর উদযাপন ও পুর্নমিলনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) খাবার সরবরাহের সময় বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক খাবার নিতে আসলে তাকে খাবারের নির্ধারিত টোকেন দিতে বলেন দায়িত্বে থাকা এক স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থী। এতে নাখোশ হয়ে খাবার না নিয়ে সেখান থেকে চলে যান এই শিক্ষক।

পর দিন ২৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগের পুনর্মিলনীর ভোজসভায় বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামছুন নাহার বেগম ও ছাত্র উপদেষ্টা মুহাম্মদ ওমর ফারুকের উপস্থিতিতে প্রথম দিনের ঘটনা সামনে নিয়ে এসে এমসি কলেজের শিক্ষক মুহাম্মদ আলাউদ্দিন খান ওই স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন এবং ক্ষমতাপ্রদর্শন মূলক কথাবার্তা বলেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এমসি কলেজের শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমরা যদি চাই তাহলে তোমার বাবা-মা এখানে আসতে বাধ্য’, ‘তুমি যে স্যারকে এভাবে অসন্তুষ্ট করলে, তুমি কি পাশ করে বের হতে পারবে?”

এদিকে বিভাগের প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টার পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ইন্ধনে এমন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

বিভাগের প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজন ব্যক্তি বিভাগের শিক্ষার্থীর প্রতি এমন আচরণ করায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্র উপদেষ্টার প্রতি আস্থা হারিয়েছেন বলে অভিযোগ পত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন।

এছাড়া এমসি কলেজের ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা এবং বিভাগের কোন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকলে শিক্ষার্থীরা সেখানে থাকবেন না বলে ঘোষণা দেন।

শিক্ষার্থীদের ৪দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ, বিভাগের প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টাকে ওই শিক্ষার্থীর ব্যাচের একাডেমিক কর্মকান্ডে না রাখা এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য বিভাগের প্রধানকে ছাত্রদের নিকট জবাবদিহি করা। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে দাবিগুলো না মানলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে ছাত্র উপদেষ্টা মুহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, শিক্ষার্থীকে কোন ধরনের ধমক বা হুমকী দেওয়া হয়নি। তাকে সুন্দরভাবে বুঝানো হয়েছে। অভিযোগে যা বলা হয়েছে তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। টোকেন নিয়ে শিক্ষার্থীরা এমন আচরণ করায় আমি রোববার ১ তারিখই ছাত্র উপদেষ্টা থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি।

এবিষয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে এমসি কলেজের শিক্ষক মুহাম্মদ আলাউদ্দিনকে পাওয়া যায়নি।

যোগাযোগ করলে অধ্যাপক শামছুন নাহার বেগম বলেন, অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আর আমার কাছে কোন ধরনের অভিযোগপত্র আসেনি।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com