মৌলভীবাজারে প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অপপ্রচারের অভিযোগ

মঙ্গলবার, ০৬ অক্টোবর ২০২০ | ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | 540

মৌলভীবাজারে প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অপপ্রচারের অভিযোগ
সাম্প্রতি মৌলভীবাজারে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেছে কতৃপক্ষ। জানা যায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের স্বনামধণ্য বদরুন্নেছা প্রাইভেট হাসপাতালে লিলি বেগম নামের এক সাড়ে সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বার মৃত্যু ঘটে। এর পর উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। কিন্তু প্রকাশিত উক্ত সংবাদে অধিকাংশই মিথ্যে বলে অভিযোগ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পক্ষে প্রখ্যাত গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ যাকিয়া শহীদ খান জানান, (গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত্র ৮: ৩০) ঘটিকায়  জেলা সদরের চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বলিয়ারবাগ গ্রামের প্রবাসী আব্দুল আহাদের সাড়ে সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী লিলি বেগম (৩৮) প্রসব ব্যাথা নিয়ে বদরুন্নেছা প্রাঃ হাসপাতালে ভর্তি হন। রোগীর উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং বয়সটাও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই ধরনের রোগীর নিয়মিত চেকআপ করানো অত্যন্ত জরুরী যা হয়নি।
ভর্তি পরবর্তীকালে হাসপাতালের রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসক রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালিয়ে যান। রোগীর প্রসব ব্যাথা এবং উচ্চ রক্তচাপের কথা বিবেচনা করে অভিবাবকদের সম্মতিক্রমে এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা রোগীকে সুস্থ করে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। রোগীর স্বজন এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রোগীকে আমরা সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেছি, এ ধরনের যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণই মিথ্যে। নরমাল ডেলিভারী কক্ষে নিয়ে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই রোগী কার্ডিয়াক এরেস্ট (হার্ট অ্যাটাক) হয়। সঙ্গে সঙ্গেই আমরা একজন আইসিউ কনসালটেন্ট ডেকে এনেছি এবং সর্বাত্মক চেষ্টার পরও রোগীর মৃত্যু ঘটে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে এটাও বানোয়াট, মৃত্যুর খবর পেয়েই রোগীর সাথে থাকা লোকজন বিষয়টি ভালোভাবে না বুঝেই ক্ষিপ্ত হয়ে হট্টগোল শুরু করলে হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার, নার্স, আয়া সহ অন্যান্যরা হাসপাতালের মধ্যেই একটি কেবিনে নিরাপত্তার স্বার্থে আশ্রয় গ্রহন করেছেলেন। আমি বাসাতেই ছিলাম। পরে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে আমরা মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেই, পরে পুলিশ এসে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বিভিন্ন মিথ্যে সংবাদ ও রটনায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডাক্তার যাকিয়া শহীদ খান গাইনোকলজিতে ডিজিও এবং এফসিপিএস করেছেন। তিনি চরম করোনা সংকট কালেও নিয়মিত চিকিৎসা সেবা চালিয়ে গেছেন।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com