ভাটেরায় আইন অমান্য করে টিলা কাটার অভিযোগ

বৃহস্পতিবার, ০৮ জুলাই ২০২১ | ১০:২১ অপরাহ্ণ | 299

ভাটেরায় আইন অমান্য করে টিলা কাটার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কুলাউড়া:: উপজেলার ভাটেরায় সরকারি আইন অমান্য করে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে এক ভুক্তভোগি পরিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আব্দুল খালিক টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছেন।

গত ২ মাস আগে তিনি বুলডোজার দিয়ে মাটি কেটে তা ট্রাকযোগে গন্তব্যে পাঠাতেন। বর্তমানে তিনি শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটাচ্ছেন। এসব মাটি তার নিজ টিলার পশ্চিম পাশে ফেলছেন। বর্ষা মৌসুমে পাশের বাড়ির একটি ঘর সম্পূর্ণ হুমকির মুখে রয়েছে। যেকোন সময় ধ্বসে যেতে পারে। যার ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১ কোটি টাকা হতে পারে। একই গ্রামের আবুল কালাম গত ৩০ জুন পরিবেশ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ৫ মে থেকে আব্দুল খালিক টিলা কাটা শুরু করেন। বড় ট্রাকযোগে তিনি মাটি অন্যত্র বিক্রি করতে থাকেন। এখন পর্যন্ত টিলার প্রায় ২ লক্ষ ঘনফুট মাটি কাটা হয়েছে। এতে আবুল কালামের বসতঘর, বাড়ির বাউন্ডারি ও গাছপালাসহ অন্যান্য দালান ধ্বসে পড়ার হুমকিতে রয়েছে।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (২০০০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানার কোনো পাহাড়-টিলা কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। বৃহত্তর স্বার্থে পাহাড়-টিলা কাটতে হলে আগে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে টিলা বা পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ কাটতে হয়।

যোগাযোগ করলে আবুল কালাম জানান, ভাটেরা-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের জামতলা খেলার মাঠ সংলগ্ন প্রায় ২৫০ ফুট পশ্চিমে হোসেনপুর গ্রামে আব্দুল খালিকের বাড়ি। গত ৫ জুন থেকে টিলার দুই পাশে অন্তত ১৫/২০ ফুট গভীর করে বুলডোজার দিয়ে তিনি মাটি কাটা শুরু করেন। সেই মাটি বড় ট্রাক ও ট্র্যাক্টরযোগে অন্যত্র নেওয়া হয়েছে। টিলার পাশেই আমার বাড়ি। এভাবে টিলা কাটলে আমার বাড়ি ধ্বসে যাবে। ২১ জুন টিলা কাটতে বাধা দেই। তখন আব্দুল খালিক আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। আমি বাধ্য হয়ে আমার বসত-বাড়ি এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেই। আনীত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুল খালিক জানান, “গত ২ বছর আগে আমি টিলা থেকে সামান্য মাটি কেটেছিলাম। টিলায় আমার দুই ভাইয়ের অংশ থাকার পর প্রায় ৫০ ফুট দূরে আবুল কালামের বাড়ি। এর ভেতর থেকে কোন মাটি কাটা হয়নি। তাই আবুল কালামের বসত-ঘর ধ্বসে পড়ার প্রশ্নই উঠে না। তিনি আরো বলেন, আবুল কালাম এবং তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে।

মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা মুঠোফোনে জানান, পাহাড় কিংবা টিলা কাটা আইনত অপরাধ। কুলাউড়ার ভাটেরায় এরকম টিলা কাটার একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১৫ জুলাই তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com