আদিতমারী উপজেলায় বিয়ের দাবিতে অনশন করা কলেজছাত্রী এক প্রেমিকাকে মারধর করে বিষপানে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে হাসপাতালে থেকে বিচার দাবি করে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই কলেজছাত্রী। এর আগে সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে বিষপান অবস্থায় আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহত কলেজছাত্রীকে।
প্রেমিক হাফেজ মো. রুহুল আমিন রুবেল আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশ্বহর গ্রামের রাজ মোহাম্মদের ছেলে। যশোহর হাফেজিয়া মাদরাসার হেফজ শাখার ছাত্র।
আহত কলেজ ছাত্রীর দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে, কলেজছাত্রীর সাথে দীর্ঘ তিন থেকে চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন প্রেমিক হাফেজ মো. রুহুল আমিন রুবেল। পাশা পাশি বাড়ি ও সম্পর্কে চাচাত ভাই বোন হওয়ার সুবাদে এ সম্পর্ক দৈহিক সম্পর্কে গড়ে উঠে। কিন্তু ছেলের পরিবার তাদের এ সম্পর্ক মানতে নারাজ।
অবশেষে প্রেমিক রুহুল আমিন রুবেল তার প্রেমিকা কলেজ ছাত্রীকে সোমবার (২৬ আগস্ট) নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় এবং বিয়ের আয়োজন করতে পরিবারের প্রতি আহবান জানান। কিন্তু তার মা, ভাই, বোনরা তাকে কৌশলে বাড়ি থেকে সড়িয়ে নেয় এবং প্রেমিকাকে ওই দিন সন্ধ্যায় মারধর করে জোর করে বিষ খাওয়ানোর পরে বাড়ির বাহিরে ফেলে রাখে বলে অভিযোগে করেন ওই কলেজছাত্রী।
এরপর মেয়েটির পরিবার স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় বিচার দাবি করে প্রেমিক রুবেলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই কলেজছাত্রী।
হাসপাতালের বেডে থাকা ওই কলেজছাত্রী বলেন, রুবেলের সাথে আমার সব কিছুই হয়েছে। সে আমাকে বিয়ে করার জন্য নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু তার বাড়ির লোকজন ছেলেকে তাড়িয়ে দিয়ে আমাকের মারধর করে জোর করে বিষ খাইয়ে বাহিরের ফেলে রাখে। এরপর জেগে দেখি হাসপাতালে বেডে আছি।
আদিতমারী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান খান জানান, ভর্তি কলেজ ছাত্রী আপাত আশংকা মুক্ত। তবে সেড়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com