প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শনিবার পাত্রখলা ও লাক্কাতুরায় বসে কথা বলবেন চা-শ্রমিকরা

শুক্রবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১১:০২ অপরাহ্ণ | 249

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শনিবার পাত্রখলা ও লাক্কাতুরায় বসে কথা বলবেন চা-শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী শনিবার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিতব্য এই ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে সিলেট বিভাগের তিন জেলার চা বাগানগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে নগরী সংলগ্ন লাক্কাতুরা গলফ ক্লাব মাঠে বিভিন্ন চা বাগান থেকে হাজারো শ্রমিক যোগ দেবেন। মহানগর পুলিশের পাশাপাশি চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবকরাও সার্বিক নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে।

দীর্ঘ ২০ দিন ধর্মঘট পালনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বৃদ্ধি করেন। এতে চা শিল্পের অচলাবস্থা কাটে। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহারের পাশাপাশি সরকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চলাকালেও শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলার দাবি জানিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে সিলেটের জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান।

সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, চা শ্রমিক নেতা রাজু গোয়ালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে এই মতবিনিময়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখলা চা বাগান থেকে অংশ নেবেন শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, পাত্রখলা চা বাগানে সবুজ চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পাত্রখলা ছাড়াও জেলার সাতটি উপজেলায় তিনটি করে ২১টি চা বাগানের কাছে বড় প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স সম্প্রচার করা হবে। এতে চা শ্রমিক ইউনিয়ন, ভ্যালি ও পঞ্চায়েত কমিটির নেতাসহ হাজারখানেক শ্রমিকের সমাবেশ ঘটবে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, জেলা সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ, ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় ব্যানার্জি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ করার কথা জানান। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শ্রমিকরা পরদিন কাজে যোগ দেন। এতে চা শিল্পে ১৯ দিনের অচলাবস্থার অবসান হয়। এতদিন চা শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি পেতেন।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com