দোয়ারাবাজারে রাস্তার কাজে অনিয়ম:নির্মান কাজ বন্ধ করলো জনগণ!

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১:৩০ পূর্বাহ্ণ | 71

দোয়ারাবাজারে রাস্তার কাজে অনিয়ম:নির্মান কাজ বন্ধ করলো জনগণ!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে ইট সিলিংয়ের একটি রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।

দোয়ারাবাজার উপজেলায় স্থানীয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও’র) আওতায় ইট সলিংয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় পিআইও উপজেলা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে চলছে এই নির্মাণকাজ।

রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের ইট,পরিমানে ও মাটি যুক্ত বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও সড়কের পাশে থাকা হেডিং ওয়াল গুলোও একেবারে নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।

পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়,৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় পিআইও উপজেলা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে চলিত বছরের মার্চ মাসে উপজেলার নরসিংপুর-মরাগাং সড়কের ডালারপার সিরাজপুর নামক এলাকায় ৫০ লক্ষ টাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু করা হয়।বন্যার কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জুলাই মাসে পূনরায় কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,শিডিউলের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো ওই সড়কে নিম্নমানের কাজ করছেন ঠিকাদার।কাজের শুরু থেকেই তদারকি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে এসব অনিয়ম করে চলছে।একেবারে নিম্নমানের ইট, নিম্নমানের বালু ও পরিমানে কম।এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সড়কের কাজে বাঁধা দেন।তারপর এলাকাবাসী দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আম্বিয়া আহমদকে বিষয়টি জানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে,সড়কে নিম্নমানের ইট,বালু পরিমানে কম ও সড়কের পাশের হেডিং ওয়াল গুলো একেবারে যেনতেন ভাবে নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। অপরদিকে শ্রমিকেরা বলছেন,ঠিকাদার যে রকম ইট-বালু দিচ্ছেন,তা দিয়েই তাদের রাস্তা নির্মাণ করতে হচ্ছে।এ সময় স্থানীয়রা তদারকি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন উচ্চ পর্যায় থেকে নরসিংপুর ইউনিয়নে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) সুনামগঞ্জের আওতায় বাস্তবায়িত কাজ গুলো সঠিক ভাবে অন্তত একবার তদন্ত করা হোক।তাহলে অনেক অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে।কারণ তদারকি প্রতিষ্ঠানের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরকারি সিডিউল অনুযায়ী উন্নয়ন কাজের মান নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ।এটা অনেকটা ওপেন সিক্রেট।কারণ এর ঘাটে ঘাটে অনেক অনিয়মের গান আছে।নিউজ লেখা পর্যন্ত অসম্পূর্ণ ২০০ মিটার রাস্তার কাজ বন্ধ থাকে।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান রাস্তার কাজে অনিয়মের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে রাস্তার কাজে অনিয়ম দেখতে পাই।এতে পরিমানে কম ও নিম্নমানের বলু,নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি এই অনিয়মের সঠিক তদন্তের মাধম্যে সঠিক ভাবে চলমান কাজ সম্পূর্ণ করার দাবী জানাই।

এই সড়কের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মিকে তথ্য দিতে তালবাহানা করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্নধার মনির হোসেন নিম্নমানের ইট-বালু ব্যবহার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি আপনার সাথে কালকে দেখা করতে চাই।দেখা হলে আপনাকে বিস্তারিত বলব।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে দেখা হলে তিনি কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ রাস্তার কাজে অনিয়মের বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস থেকে প্রতিদিন কাজের তদারকি করা হচ্ছে।কোন অনিয়ম আমরা দেখিনি।বন্যার কারনে ইট গুলো অনেকটা কালার পরিবর্তন হয়ে গেছে।বর্তমানে কোন ইট তৈরি হচ্ছেনা বলে বন্যার আগের ইট দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।তবুও যদি কোন অনিয়ম লক্ষ করা যায় আমরা দেখব।

 

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com