কুলাউড়ায় স্বস্তির তরমুজ চড়া দামে বিক্রি, অস্বস্তিতে ক্রেতারা!

মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১ | ৯:২০ অপরাহ্ণ | 359

কুলাউড়ায় স্বস্তির তরমুজ চড়া দামে বিক্রি, অস্বস্তিতে ক্রেতারা!

ইউসুফ আহমদ ইমন:: বৈশাখের গরমে রোজা রাখার পর ইফতারে রোজাদারদের প্রাণে প্রশান্তি আনে রসাল ফল তরমুজ। অনেকে আবার ফলটিকে ‘গরমের আরাম’ বলেও অভিহিত করে থাকেন। রমজানকে কেন্দ্র করে এবার বাজারে তরমুজের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু স্বস্তির এই ফলের দাম নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা।কুলাউড়া শহরের খুচরা ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই তরমুজের সরবরাহ কয়েকগুণ বেড়েছে। ছোট দোকানগুলোয়ও তরমুজের ছড়াছড়ি। অনেকে আবার ভ্যানে করেও বিক্রি করছেন রসালো ফল তরমুজ। বিক্রেতারা বলছেন, গতবারের চেয়ে এবার রোজায় তরমুজের ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেই পরিমাণ তরমুজ আসছে না। আড়ৎদারেরাও চড়া দামে বিক্রি করছে। কয়েকগুণ বেশি দামে ক্রয় করে পরিবহনে আনতে গিয়েও দিতে হচ্ছে বাড়তি পয়সা। লকডাউনের অজুহাতে গাড়ী চালকেরা নির্ধারিত বাড়ার চেয়ে অধিক বাড়া দাবী করছে। যার কারণে ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা তরমুজ আনতে পারছে না। চাহিদার তুলনায় তরমুজ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, রোজা রাখার পর প্রচুর পানির দরকার হয়। তরমুজ খেলে শরীর ঠাণ্ডা হয়। পানির পিপাসাও কমে। তাই তরমুজ খাওয়া ভাল। কিন্তু মৌসুমি ফল হওয়ার পরেও তরমুজের দাম অনেক বেশি। তারা বলেন, বিশ্বের সব দেশেই রমজান মাসে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। যাতে রোজাদাররা ভালোভাবে রোজা পালন করতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো। রোজার আগের দাম কম থাকলেও রোজার আসতে না আসতেই দাম বাড়ায়।

কুলাউড়া শহরের ফল বিক্রেতা নিয়াজুল ইসলাম বলেন, রোজার শুরুতে তরমুজের চাহিদা কম থাকলেও এখন অনেক বেড়ে গেছে। বৃষ্টি কম হওয়ায় গরম বেশি থাকায় তরমুজের বিক্রি বেড়েছে। লকডাউনের কারণে পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কম। পাইকারিতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। রমজানের আগে মৌসুমের শুরুতে যে তরমুজ বিক্রি করেছি ৮০ থেকে ১৮০ টাকা পিছ, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। একটু বড় আকারেরগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০টাকা পিছ।

সুত্রে জানায়, কুলাউড়ায় যে তরমুজ পাওয়া যায় তার বড় অংশই আসে ভৈরবের বিভিন্ন আড়ৎ থেকে। এ বছরও সস্তুষ্টজনক হারে তরমুজ আমদানি হয়েছে। তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে তরমুজের ঘাটতি নেই। তারপরও আড়ৎদারীরা চড়া দামে বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। এর ফলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের।

পাইকারি দর নিয়ে লোকমান জানান, আড়তে তরমুজ ১০০ পিস হিসাবে বিক্রি হয়। আকার ভেদে ও এলাকাভেদে দাম বেশ-কম হয়। এবার বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে তরমুজের চাহিদা বেশি। এ সুযোগে আড়ৎদাররা চড়া দামে বিক্রি করছে। তবে বৃষ্টি হলে অনেকটা কমে যাবে দাম।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com