স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকে এখন অব্দি জেলা প্রশাসক হিসেবে সিলেটে অনেকেই এসেছেন এবং চলেও গেছেন। আগামীতেও অনেকে আসবেন এবং চলে যাবেন। এটা এক প্রকার চলমান প্রক্রিয়া। তারপরও কিছু মানুষ নিজেদের কর্মগুনে সিলেটেবাসীর মনে স্থান করে নিয়েছেন। তেমনি একজন ডিসি এম কাজী এমদাদুল হক। বর্তমান জেলাপ্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম সিলেটের দায়িত্ব প্রাপ্তির বেশী দিন হয়নি।
অথচ তাঁর মানবিক মূল্যবোধ এবং কর্মদক্ষতায় সিলেটবাসী মুগ্ধ। নিত্য নতুন চিন্তা ও স্মার্ট আইডিয়ায় সিলেটের জেলা প্রশাসনকে এক নতুন মাত্রায় উন্নিত করেছেন তিনি। একজন ন্যায়পরায়ণ জেলা প্রশাসক হিসেবে আইন ও নিয়মনীতির আলোকেই পথ চলতে উনি পছন্দ করেন। এখন অব্দি কোন অন্যায়ের সাথে আপোস করেননি তিনি। বিশেষ করে অসহায় মানুষের পার্শ্বে দাঁড়ানো, দূগম অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়ানো, রমজান মাসে ভেজাল বিরোধী অভিযান এবং বাজার মনিটরিং কাজে তিনি বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছেন। যার ফলে বিগত বছরগুলোতে সিলেটে দ্রব্যমূল্য ছিলো সহনীয় পর্যায়ে। এছাড়া বিগত ঈদুল আযহায় ঈদ কার্ডে তিনি আরেক চমক দেখিয়েছেন।
সিলেটের ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু’ প্রিয়ম পুরকায়স্থ -এর আঁকা ছবি দিয়ে ‘ঈদ কার্ড’ করেছেন। যা খুবই দৃষ্টি নন্দন। এ থেকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রতি তার যে মানবিক প্রেম রয়েছে এটি প্রমানীত হয়েছে। শুধু তাই নয় তিনি প্রিয়মকে তার কার্যালয়ে ডেকে এনে পরম মমতায় কোলে তোলে নেন এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। এবার আবার নতুন করে সিলেটবাসীকে মুগ্ধ করছেন তিনি। করোনা মোকাবেলায় জনসমাগম এড়াতে কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের বাড়িতে খাবার পৌছে দিচ্ছেন সিলেটের মান্যবর জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, একাত্তরে রক্ত ঝরিয়ে লড়াই করে স্বাধীনতা পেতে হয়েছে। কিন্তু এখন এক অদৃশ্য এক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের মানুষকে এ লড়াইয়ে অংশ নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আরো জানান, করোনা মোকাবেলায় বেশ কিছুদিন যাবত দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিপনী বিতান৷
এছাড়া বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। অসহায় হয়ে পড়েছে অনেক দিনমজুর, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। দরিদ্র মানুষের তালিকা করে সিলেট জেলাজুড়ে এই খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি জানান, কেউ যদি জানান, ত্রাণ পাননি বা এমন কোন জায়গায় ত্রাণ পৌছায়নি, তৎক্ষনাৎ আমি সেখানে ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করবো। এছাড়া করোনা মোকাবেলা করতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
সিলেটবাসীকে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন- ‘এ লড়াইয়ে রক্তপাত নেই। কিন্তু প্রাণ ঝড়বে। এ লড়াই অদৃশ্য এক ভাইরাসের বিরুদ্ধে। তাই আপনারা সবাই ঘরে থাকুন। বিনা কারণে বাড়ি থেকে বের হবেন না। বল প্রয়োগে নয়, মানুষকে সচেতন করে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সিলেটের মান্যবর জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
Development by: webnewsdesign.com