অগ্রগতি জানতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভা

আটকে আছে আখাউড়া-সিলেট ডুয়েল গেজ উন্নয়ন প্রকল্প

বৃহস্পতিবার, ০২ জুলাই ২০২০ | ৪:০৭ অপরাহ্ণ | 596

আটকে আছে আখাউড়া-সিলেট ডুয়েল গেজ উন্নয়ন প্রকল্প

ঢাকা-সিলেট সড়কের মতো ঝুলে থাকা আখাউড়া-সিলেট ডুয়েল গেজে উন্নীত করার প্রকল্পটিও আটকে আছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে সিলেটের জনপ্রতিনিধিরা রেল মন্ত্রণালয়ে একাধিক ডিও লেটার দিয়েও জানতে পারেনি অগ্রগতির তথ্য।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) এ নিয়ে বৈঠক চলছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। ডাকা হয়েছে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের। এটা নিয়ে আর কোনো বিলম্ব হলে সিলেটের ১৯ জন সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষকে নিয়ে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান এ প্রকল্পের সবশেষ কোনো অগ্রগতি জানাতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই চলছে প্রকল্পটি। অগ্রগতি খুবই স্লো। বিভিন্ন জঠিলতায় দেরি হয়ে গেছে। প্রথমে জমি অধিগ্রহণে সমস্যা, পরে কারিগরী জঠিলতা। এখন আমরা চেষ্টা করছি এটিকে এগিয়ে নিতে। জমি অধিগ্রহণের যে সমস্যা ছিল সেটি সমাধান হয়ে যাচ্ছে। মাটির লেভেল ও গঠনগত একটু সমস্যা আছে। সেটা সমাধান করা না গেলে কাজ এগুবো না।’ তিনি জানান, চলতি বাজেটে এ নিয়ে বরাদ্দ রয়েছে। তবে বিভিন্ন জঠিলতায় কাজে এগুতে পারেনি এটা সত্য।

জানা যায়, ২০১৯ সালের শুরুতে একনেকে অনুমোদনের পর আর ডুয়েল গেজে উন্নীত করতে রেলওয়ের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। সমস্যা সমধানে বার বার রেলওয়ের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিলেটের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যরা।

এমনকি সিলেটে রেলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও রেলওয়ের গতিহীন কাজে বার বার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ঢাকা সিলেট চারলেনে উন্নীতকরণ ও আখাউড়া সিলেট ডুয়েল গেজে রূপান্তরে তিনি বার বার তাগদা দিয়েও আশানুরুপ ফল পাননি উল্লেখ করে বুধবার রাতে সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যতটুকু জানতে পারলাম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রকল্পের আপডেট নিয়ে বৈঠক ডেকেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ প্রকল্পের অবস্থা জানতে চাচ্ছে। সেখানে কোনো অভিসন্ধী আছে কি না সেটি আমাদের একটি আশঙ্কা। আমাকে বলা হয়েছে- শুধু আপডেট নেওয়ার জন্য।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এতদিন যখন কোনো কাজ হয়নি তখন কেউ আপডেট নিতে আসেনি। এখন যখন এটা প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে টাকাও অনুমোদন হয়েছে। শুধু কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্টটা বাকি। এখন ঠিকাদার নিয়োগ হবে। এই সময় আবার কি শুরু হলো এজন্য ভয়ে আছি।’

ড. মোমেন জানান, প্রকল্প যদি এবার এগিয়ে না যায় তাহলে আমরা আন্দোলনে নামবো। অনেকদিন থেকে আমরা বঞ্চিত। সাত ঘণ্টা লাগে সিলেট যেতে। এর মধ্যে প্রায়ই ঘটে সড়ক ও রেলে দুর্ঘটনা। শুধু আখাউড়া থেকে সিলেট একটি অল্প দূরত্বে জায়গা ডুয়েল গেজ করতে রেলওয়ের এত সময় লাগছে, যা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে আখাউড়া-সিলেট অঞ্চলের রেলপথকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরিত করার কথা। কিন্তু কাজ এখনো শুরুই করা হয়নি। প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান ২২৫ কিলোমিটার আখাউড়া-সিলেট অঞ্চলের মিটার গেজ রেলপথ ২৩৯ দশমিক ১৪ কিলোমিটার ডুয়েল গেজে রূপান্তরিত করা হবে। আধুনিক ভভনে সজ্জিত করা হবে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনেক।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com