সাড়ে তিন মাসে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের আয় সাড়ে ৩৩ লাখ

রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৯ | ৫:১৮ অপরাহ্ণ | 378

সাড়ে তিন মাসে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের আয় সাড়ে ৩৩ লাখ

চলতি বছরের ১৪ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা আয় হয়েছে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের। সংসদের শেরেবাংলা নগর অফিস কক্ষগুলোর তত্ত্বাবধান ও ভাড়া আদায়ের দায়িত্ব মেম্বারস ক্লাবের পরিবর্তে হোস্টেল শাখার কাছে হস্তান্তর করায় এত আয় হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। তবে গত ৯ বছর ধরে সংসদ সদস্যদের ক্লাবটির ক্যান্টিন কিভাবে পরিচালিত হয়, সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন চাইলেও তা সংসদীয় কমিটিতে দেয়নি ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম।

রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদ কমিটির চতুর্থ বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়। কমিটির সভাপতি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম , ফজলে হোসেন বাদশা, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি অংশগ্রহণ করেন।



কার্যপত্র থেকে জানা যায়, পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবটি চলতি বছরের ১৪ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তাদের আদায়কৃত হিসাব দাখিল করে। সেই হিসাব অনুযায়ী এলডি হল ভাড়া বাবদ ৮ লাখ ৬৫ হাজার, ডেকোরেটর থেকে ১৫ হাজার, ক্যান্টিন স্পেস ভাড়া বাবদ ৬৫ হাজার, সদস্যদের আজীবন ফি বাবদ ১১ লাখ টাকা এবং অফিস ভাড়া বাবদ ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আয় হয়েছে।

গত ৯ বছর ধরে সংসদ সদস্যদের ক্লাবটির ক্যান্টিন কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন চেয়েছিল সংসদীয় কমিটি। এটি দেয়ার কথা ছিল সাধারণ সম্পাদকের। কিন্তু চলতি বছরের ২১ আগস্ট পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের কাছে সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্তটি পাঠানো হলেও আজ পর্যন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, বৈঠকে সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় এবং এ সমস্যা সমাধানে পিডব্লিউডি কর্তৃক মিরপুরে নির্মিত ভবন সংসদের কাছে হস্তাস্তরের জন্য পিডব্লিউডিকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

পিডব্লিউডিকে সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আগারগাঁও এলাকায় আরও দুটি ভবন নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মের প্রাপ্যতা ঠিক রেখে বাসা বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সংসদ ভবন ও সংসদ সদস্য ভবন এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং সংসদ এলাকা থেকে সকাল ৮টার আগে ময়লা অপসারণ করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সংসদ এলাকায় নিয়মিত মশক নিধন অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখতে উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে সংসদ ভবন এলাকা থেকে সিটি কর্পোরেশনকে সকল প্রকার কুকুর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনে ডগ হোম নির্মাণ করে সেখানে স্থানান্তরপূর্বক অপসারণের ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, সংসদ সচিবালয় ও পিডব্লিউডি এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com