কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে তৃণমূল পর্যায়ে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। কারা সভাপতি-সম্পাদক হচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। সভাপতি-সম্পাদক পদের সমর্থকদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে আলোচনা। সম্মেলনের মাত্র ১ দিন বাকি থাকায় প্রার্থীদের তৎপরতা চোঁখে পড়ার মতো। সরগরম প্রার্থী ও সমর্থকদের ফেসবুক। বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা সামাজিক মাধ্যমে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ নভেম্বর স্থানীয় ডাক বাংলো মাঠে। সম্মেলনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এতে করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে।
সম্মেলন ও কাউন্সিলের তারিখ ঘোষনার পর পরই পদ প্রত্যাশীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। পদ প্রত্যাশীদের অনুসারী ও শুভাকাঙ্খিরা পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছিলেন। তবে সম্মেলনের সময় ঘনিয়ে আসতেই এ প্রচারনা এখন মাঠেও। সমর্থক ও প্রার্থীরা সম্মেলন কে স্বাগত জানিয়ে করছেন মিছিল মিটিং।
আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) উপজেলা শহর জুড়ে পদপ্রত্যাশীদের প্রার্থীদের পক্ষে বিলবোর্ড ও ফেস্টুন দেখা গেছে। শহর ও ইউনিয়নের বাজারগুলোতে সম্মেলনের আসা সম্ভাব্য অতিথিদের পোষ্টার ব্যাপকভাবে লাগানো হয়েছে। অতিথিদের সম্মানে বেশ কয়েকটি তোরণ ও গেইট নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্মেলন সফল করতে মাইকিংসহ নানা প্রচারনার কাজ চলছে তোড়জোড়ে। এছাড়াও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রতিদিন মিছিল মিটিং হচ্ছে শহরে ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়েও।
সভাপতি পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান।
সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মনসুর আহমদ চৌধুরী ও ফজলুল হক ফজলু, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা শফিউল আলম শফি, সাবেক কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও দলের যুব বিষয়ক সম্পাদক আ স ম কামরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সিএম জয়নাল আবেদীন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা বদরুল ইসলাম বদর রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে।
কুলাউড়া উপজেলার তৃনমূলনেতাকর্মীদের ধারনা, দলের জন্য ত্যাগী, রাজনৈতিক যোগ্যতা, অতীত কর্মকান্ড, নির্যাতিত, হামলা-মামলাসহ নানাভাবে যোগ্যতা বিবেচনা করেই উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন যোগ্য নেতারা।
এদিকে, দীর্ঘ ১৫ বছর পর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে তাই তৃণমূল নেত্তাকর্মীদেরও আগ্রহের কমতি নেই। তবে কাউন্সিলে দলীয় আদর্শে বিশ্বাসী ত্যাগী আর নিবেদিতদের স্থান দিতে আহবান জানিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা।
Development by: webnewsdesign.com