ডেস্ক রিপোর্ট:: করোনার কারণে গত বছরের অর্থনৈতিক ক্ষতির ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই নতুন লকডাউন! মহামারি করোনায় নিঃশ্ব হয়ে পরছেন কুলাউড়া বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা। লকডাউনে দোকান বন্ধ রেখে ব্যাংক খোলা। ব্যাংক লোনের কিস্তি পরিশোধে ব্যাংক কর্মকর্তা বাড়িতে গিয়ে চাপ সৃষ্ঠি করছে। আর বিভিন্ন এনজিও কর্মীরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’। একদিকে ঋণের কিস্তির চাপ অন্যদিকে পরিবারের বরনপোষন। অনেকে আবার লোনের কিস্তি দিতে এনেছেন চড়া সুদে টাকা। মাসে মাসে গুণতে হচ্ছে সুদের টাকাও।সব মিলিয়ে নিঃশ্ব হয়ে পরছেন কুলাউড়া বাজারের অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। করোনার প্রভাবে সরকারের লকডাউন যেমন দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে তাঁদের পরিবারে। দিনমুজুর গরীবেরা হাত পেতে খেতে পারলেও মধ্যবিত্তদের কোন রকম খেয়ে বাঁচাও এখন দায় হয়ে পরেছে।
অনেক ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এভাবে চলতে থাকলে করোনায় নয় পাওনাদের চাপ সামলাতে না পেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে। তাই দ্রুত সহয শর্তে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংক লোন বা প্রনোদনা দেয়ার জোর দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্ত এসব ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কুলাউড়া বাজারের এক ফার্ণিচার ব্যবসায়ী জানান, বাজারের ব্যবসা মন্দাভাব অনেক আগে থেকেই। কোন রকম ব্যাংক ঋণ নিয়ে চলছিলাম। গেল বছরের করোনার কারণে ব্যবসার পুঁজি কমে এসেছে। এতে করে পরিবারের ৩বেলা ভাত ঝুটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। ব্যাংক ঋণের কিস্তির চাপে কিছুদিন আগে বউয়ের গহণা বিক্রি করে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। ফের লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অন্য আরেক ব্যবসায়ী বলেন, করোনায় মারা গেলেও শান্তি পেতাম। ব্যাংক লোনের কিস্তি দিতে গিয়ে সুদে টাকা আনতে হয়েছে। এখন পরিবার কে ভাত খাওয়াবো? নাকি ব্যাংক লোনের কিস্তি দিবো? না সুদ পরিশোধ করবো? একের পর এক ঢিলেঢালা লকডাউন। আমরা কোথায় যাবো।আর এদিকে শুধু টিভি চ্যানেলে দেখি সরকারি প্রনোদনা দিচ্ছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। আবার সহয শর্তে লোন। বাস্তবে কি পাচ্ছি আমরা? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের খবর কে রাখে? এভাবে চলতে থাকলে মরা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |
Development by: webnewsdesign.com