সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে জনসাধারণের যাতায়াত দুর্ভোগ লাঘবে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ও স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সেতু। ফলে এলাকার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের ভোগান্তি কমছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বালিশ্রী গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বালিশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী বেড়িবাঁধ ভেঙে বালিশ্রী, রৌয়াইল ও আলমপুর গ্রামবাসীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যে কারণে ওইসব এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবং তিন গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। কারণ এই তিন গ্রামবাসি ওই বাঁধ এলাকা দিয়ে রানীগঞ্জ-বালিশ্রী-রৌয়াইল-আলমপুর সড়ক দিয়ে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন তথা উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন।

এই জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসেন স্থানীয় আলমপুর গ্রামের মো. বরজু মিয়া। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে এবং স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে গত সপ্তাহে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ওপর ৪৫ ফুট লম্বা বাঁশের সেতু নির্মাণ করেন। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হয়।

এ ব্যাপারে বরজু মিয়া বলেন, বাঁধের একাংশ বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় লোকজন। জনসাধারণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমার নিজ উদ্যোগে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাঁশের সেতু নির্মাণ করেছি। এতে আমার ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রৌয়াইল গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, সম্প্রতি বন্যায় রানীগঞ্জ-রৌয়াইল ভায়া আলমপুর সড়কের বালিশ্রী এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। গত কয়েকদিন আগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় লোকজনের চলাফেরার সুবিধার্থে একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করায় ৩টি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।