ফাতেমা আক্তার ইমা। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। বাবা থেকেই নেই। মা সেলিনা বেগম সেলাই মেশিনে কাজ করে মেয়ে ইমাকে ছোট বয়স থেকে লালন পালন করে আসছেন।
ইমা’র বয়স যখন ১১ মাস তখন মা সেলিনা বেগম কে ডিভোর্স দেন ইমার বাবা। সেই সময় থেকে জিবন যুদ্ধে লড়াই করে আসছেন ইমার মা সেলিনা বেগম। ফাতেমা আক্তার ইমা’র বাড়ি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের গবিন্দবাটী এলাকায়। সে উপজেলার রাজনগর আইডিয়াল হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ইমা’র বাবা তার মাকে ডিভোর্স দেওয়ার পর থেকে কোনো দিন খবর নেননি ১১ মাসের সেই ইমার। মা সেলিনা বেগম অনেক কষ্ট করে সেলাই মেশিনে কাজ করে মেয়ে ইমাকে লেখাপড়া করান। কাপর সেলাই করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকম চলছে তাদের মা-মেয়ের সংসার সহ লেখাপড়ার খরচ।
ফাতেমা আক্তার ইমা’র স্বপ্ন লেখাপড়া করে সে ডাক্তার হবে। কিন্তু টাকার অভাবে এ স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবায়ন হবে বুঝে উঠতে পারছেন না ইমা। সে অষ্টম শ্রেণীতেও জিপিএ-৫ পেয়ে ছিলো।
ফাতেমা আক্তার ইমা বলেন, আমি ডাক্তার হতে চাই। ডাক্তার হয়ে আমার মতো অসহায়দের সেবা করতে চাই। আমার বাবা আমাকে ১১ মাসের রেখে মাকে ডিভোর্স দেন। তার পর থেকে আমার মা অনেক কষ্ট করে আমাকে লালন পালন করেন। লেখাপড়ার খরচ দেন সেলাই মেশিনে কাজ করে। মায়ের পাশাপাশি আমার স্কুলের স্যার’রা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমার স্বপ্ন পুরণে আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।
ফাতেমা আক্তার ইমা’র মা সেলিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। আমি ডিভোর্স হওয়ার পর আমার মেয়ের জন্য আর বিয়ে করি নি। মেয়ের দিকে থাকিয়ে সেই ১১ মাসের মেয়েকে নিয়ে জিবন সংগ্রাম শুরু করি। কাপর সেলাই করে যে আয় হয় তা দিয়ে মা মেয়ের সংসার চলে। আমার মেয়ের স্বপ্ন ডাক্তার হবে, কিন্তু আমার তো সেই অর্থ নেই। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে আকুল আবেদন আমার মেয়ে কে ডাক্তার হওয়ার সুযোগ করে দিন। আমি সকলের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
Development by: webnewsdesign.com