দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নার গাঁও ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের নারীর বসত ভিটার মাটি কেটে গর্তসহ ঘরবাড়ি দখলের চেষ্টা করছে ঐ মহিলার পূর্বের স্বামী। সে উপজেলার মান্নার গাঁও ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র আনছার আলী (৬৫)।
ভুক্তভোগী হাজেরা বেগম (৫২) করিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের মেয়ে। করিমপুর গ্রাম সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, তার বসত বাড়ির মূল ভিটার মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে আনছার আলী তার বর্তমান স্ত্রী রাবিয়া খাতুন ও তার ভাই। একই দাগের পাশের একটি গর্তের মধ্যে বাশপালা দিয়ে ঘর বানিয়ে অবশিষ্ট জায়গা দখল করে মাটি বরাট করছেন আনছার আলী।
স্থানীয়রা জানায়, আনছার একজন বহুবিবাহকারী লোক। তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। তাঁর ধারাবাহিকতায় তিনি হাজেরা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি বিদেশে চলে যান। পরে হাজেরা বেগম হাসের ফার্ম করে কষ্ট করে জীবন যাপন করেন।
গত ২৪ অক্টোবর হাজেরা বেগমের জায়গা দখল করার অভিযোগ এনে দোয়ারাবাজার থানায় তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আনছর আলী। হাজেরা বেগমের মামলাটি বর্তমানে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা চলাকালীন সময়ে আনছার আলী জোর পূর্বক বসত বাড়ির ভিটা কেটে পাশের গর্ত ভরাট করছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী হাজেরা বেগম বলেন, জুলাই ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে ইসলামপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র আনছার আলীর সাথে আমার বিয়া হয়। এর পর আমাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বিয়ের কয়েক মাস পর সে আমার পিত্রালয়ে চলে আসে, আমাদের সংসার জীবন ও ভালই কাটে এক পর্যায় সে ইরান দেশে চলে জায়। সেখানে যাবার বছর খানেক পরে জানতে পারি সে ইরান দেশে ঐ দেশের এক মহিলাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পরে আর আামাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। আমি নিরুপায় হয়ে আমার বাবার ভিটায় একটি ঘর নির্মাণ করে অন্যের বাড়িতে কাজ করে আমার মেয়ে নিয়া কষ্টে দিনাতিপাত করছিলাম। প্রায় একযোগ পরে আমি তার সাথে যোগাযোগ করি এবং দেশে ফিরত আনার জন্য দালাল মারফত ৪০ হাজার টাকাও পাঠাই। দেশে এসে আমাকে মাইর পিট করে আরেক বিয়ে করেন। প্রতিদিন আমাকে মারপিট ও খারাপ আচরণ করায় আমি নিরুপায় হয়ে তাকে তালাক দেই। আমার বাবার দেয়া জায়গায় কষ্ট করে একটি ভিটা করে ঘর বাড়ি বানাই। এখন সে আমার ভিটা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সে জোরপূর্বক ভাবে আমার বসত ভিটার মাটি কেটে গর্ত করছে। বাধানিষেধ মানছেন না, আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে।
আনছার আলী বলেন, আমি ঘর বানানোর জন্য মাটি কাটছি। এছাড়া অন্য জায়গা থেকে মাটি আনার সুযোগ নাই। তাই আমি আমার ভিটা থেকে মাটি কেটে নিচ্ছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দোয়ারাবাজার থানার এস আই সজিব দত্ত বলেন, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাটিয়ে দিয়েছি। এবং আনছর আলিকে আদালতের কোন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ভিটে মাটি না কাটার জন্য বলা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com