কুলাউড়ায় অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়!

সোমবার, ২২ জুন ২০২০ | ৩:৫০ অপরাহ্ণ | 449

কুলাউড়ায় অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়!

বিশেষ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উপজেলা কর্মধা ইউনিয়নে স্থাপিত মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। কার্যালয়ের সামনে প্লাস্টিকের ব্যাগ- পানির বোতল এবং বিভিন্ন ধরনের আবর্জনায় স্তূপ হয়ে আছে। দেশ ও জনগনের অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধা সংসদের কার্যালয় কর্মধা ইউনিয়েনের কাঠালতলী বাজারের পূর্ব পাশে ১৩ নং কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ভুমিতে স্থাপিত এ কার্যালয়। কার্যালয়ের পশ্চিমে দোকানপাট ও উত্তর এবং দক্ষিণ পাশে কাচা বাজার, কাঠালতলী বাজারের ময়লা-আবর্জনা এ কার্যালয়ের সামনে ফেলা হয়ে। কিন্তু মুক্তি যোদ্ধাদের এ কার্যালয় রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের।

কর্মধা ইউনিয়নে রাংগিছড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নরসামলু রাজভর জানান, স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষায় জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা এ কার্যালয়ে বসে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে বলে এ কার্যলয় স্থাপিত করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের এ কার্যালয়ে কর্মধা ইউনিয়নের কামডার ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কারি আঞ্জব আলী, তিনি গত কয়েকমাস আগে মারাগেছেন বলে জানাগেছে। আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, কার্যালয়ের প্রবেশপথে প্লাস্টিকের ব্যাগ, পানির বোতল ও ময়লা আবর্জনা। কার্যালয়ের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। কার্যলয়ের প্রবেশ দরজার সামনে ময়লা-আর্বজনা ও মলমূত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। কর্মধা ইউনিয়নের ডিপুটি কামান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতাপ সিংহ জানান, কার্যালয়ের সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়টি এখন ময়লা আবর্জনা্র ডাস্টবিন হিসাবে পরিনত হচ্ছে, এ ছাড়া এটি নির্মাণের পর আর সংস্কারকাজ হয়নি। ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। কর্মধা ইউনিয়নের কাঠালতলী বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, কার্যালয়ের উত্তর পাশে ১৩ নং কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের বড় রাস্তা, এ রাস্তা দিয়ে সবসময় বাস ট্রাক অনেক যানবাহন চলাচল করে ,সবার চোখে পড়ে এ কার্যালয়ের সামনে ময়লা আবর্জনার স্তূপ, এ রাস্তা দিয়ে কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনেক ছাত্র/ছাত্রী যাতায়াত করে থাকেন, এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কার্যালয়ের সামনে এসে ছাত্রছাত্রীরা নাকে ধরে দম বন্ধ করে এ জায়গা পার হয়ে থাকেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয়ের অব্যবস্থাপনার দৃশ্য কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চোখে পড়ে না।



কর্মধা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের এক প্রবীন নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তিনি বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় ও গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৩ নং কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এম এ রহমান আতিক তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় অযত্নে পড়ে আছে। কার্যালয়টি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কর্মধা ইউনিয়নের জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা। কর্মধা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা নরসামলু রাজভর বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যালয় রক্ষণাবেক্ষণে ১৩ নং কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক

Development by: webnewsdesign.com