ইউসুফ আহমদ ইমন:: দীর্ঘদিন পর নানাভাবে বঞ্চিত কুলাউড়া পৌরসভার মানুষ যেনো নিশ্বাস নিচ্ছেন প্রাণ ভরে। অনিয়ম থেকে নিয়মের শৃঙ্খলায় ফিরছে পৌরসভার সার্বিক চিত্র। মানুষ তাঁর প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা ও প্রতিক্ষিত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছে। গেল ২১ বছর পর স্বস্থির উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে কুলাউড়া পৌরসভায়।
অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তাঁর কাজ, মেধা, যোগ্যতা সর্বপুরি পৌরবাসীর প্রতি অগাত ভালোবাসার জায়গা থেকে ব্যাপক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচিত হয়েই দিনরাত সমান করে পৌর এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের ১ বছরের মধ্যে একাধিক রাস্তা প্রশস্তকরণ ও নতুন রাস্তা নির্মাণ করে পৌরবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছেন ডায়নামিক মেয়র হিসেবে। একাধিক নতুন রাস্তার মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত জয়পাশা গ্রামের প্রধান রাস্তা শাহ্ কামাল (রহঃ) মাজার গেইট সংলগ্ন রেলের উপর দিয়ে ৪ গ্রামের স্বপ্নের রাস্তা নির্মাণ করে চমক দেখিয়ে প্রসংশায় ভাসছেন মেয়র সিপার। রেল বিভাগ ও তৎকালীন মেয়রদের অসহযোগিতা কারণে এ রাস্তাটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
জয়পাশা বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এতো কম সময়ে এত কিছুর পরিবর্তন কেবল একজন সিপারের পক্ষে সম্ভব হয়েছে। রেলের উপর দিয়ে এ রাস্তাটির আমাদের কাছে একটি স্বপ্ন ছিল। অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করে কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমিয়েছেন। এ রাস্তা নিয়ে বহু নেতার কাছে তদবির করেও কোন সুরাহা পায়নি।এতো বছর পরে হলেও একজন সৎ, যোগ্য ও কর্মঠ মেয়র পেয়েছি।যার ফল হিসেবে আমাদের স্বপ্নের এ রাস্তাটি।
কামারকান্দি এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী শিমলা আক্তার, প্রমি আক্তার, তারেক হাসান বলেন, যাতায়াতের একমাত্র এ রাস্তাটি আমাদের কাছে সোনার হরিণ ছিল।প্রতি বর্ষা মৌসুমে কাঁদা ও পানিতে তলিয়ে থাকা রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হতো। একজন যোগ্য মেয়রের কারণেই খুব কম সময়ে সুন্দর একটি রাস্তা পেয়েছি।
এ বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম খাঁন (খসরু) জানান, আমার এলাকার মানুষ বহুবছর থেকে এ রাস্তাটি নির্মাণের জন্য দাবী করে আসছিলেন। রেলের অসহযোগিতা ও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এ রাস্তাটি করতে কেও রাজী হয়নি। অতচ জয়পাশাসহ ৩/৪ টি গ্রামের প্রধান রাস্তা এটি। বর্তমান মেয়র মহোদয়ের কাছে দাবী করা মাত্রই খুব অল্প সময়ে রাস্তাটি নির্মাণ করে দিয়েছেন। মেয়র মহোদয়ের কাছে জয়পাশার মানুষ চির ঋণী হয়ে থাকবে।
এব্যাপারে কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে আমি ভোটের রাজনীতির চেয়ে মানুষের দুর্ভোগ নিরসণে আমার কাজ শুরু করেছি। পৌরসভাকে একটি নিয়মের শৃঙ্খলায় আনার চেষ্টা করছি।
মানুষ তাঁর সঠিক উন্নয়ন তথা সুযোগ সুবিধা পাবে এটা তাঁর অধিকার। এবং সেই অধিকার নিশ্চিতে আমার স্বর্বাতক চেষ্টা চলমান থাকবে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সকল সমস্যা এক সাথে সমাধান করা সম্ভব নয়।পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষের দুর্ভোগ নিরশনে যা যা করা প্রয়োজন করার চেষ্টা করবো। চাইলেই উন্নয়ন করা সম্ভব নয় তবে চাইলেই মানুষের দুর্ভোগ কমানো সম্ভব।সৃষ্টিকর্তা যদি সুস্থ রাখেন তাহলে পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে বাস্তবিক ‘এ’ গ্রেড পৌরসভায় রুপান্তরিত করবো।
গেল ১ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন যা করেছেন: ড্রেণিজ ব্যবস্থা, মশা নিধন, সরকারী সকল ধরনের সুবিধা সুষ্ট বন্টন, নতুন রাস্তা নির্মাণ, নিরাপত্তার জন্য পৌর শহরের সিসি ক্যামেরা সচল, পুরাতন বৈদ্যুতিক লাইট সচলসহ নতুন বৃদ্ধি করা, বয়স্ক থেকে মাতৃকালীন ছাড়াও বিভিন্ন ভাতা গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা, সব চেয়ে বড় কথা শহরে যানজট নিরসনে দুটি সিএনজি স্ট্যান্ড শহরে দুপাশে স্থানান্তর করা। সাপ্তাহিক পশুর হাট চালু, পৌরবাসী সুপেয় পানীর ব্যবস্থা ও দুটি কাঁচা বাজারে বহুতল ভবনের উদ্যোগ নেয়া এ যেনো এক নজিরবিহীন উন্নয়নের পথে ছুঁটে চলছে কুলাউড়া পৌরসভা।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
Development by: webnewsdesign.com